মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও অসীম মাজি। — ফাইল চিত্র
প্রাক্তন এবং বর্তমান বিধায়কের মধ্যে সম্পর্কের বরফ কি গলছে হুগলির বলাগড়ে? শুক্রবার বলাগড়ের জিরাটে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাজিকে ‘শিক্ষক’ হিসাবে স্বীকৃতিও দিয়েছেন মনোরঞ্জন।
শুক্রবার জিরাটের এক অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মনোরঞ্জন এবং অসীম। সেখানে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে অতিথিদের পরিচয় করাতে গিয়ে মনোরঞ্জন তাঁর শিক্ষক হিসাবে অসীমকে মেনে নেন। তাঁর কথায়, ‘‘উনি (অসীম মাজি) বর্তমানেও বিধায়ক।’’ এর পর উপস্থিত দর্শকদের কাছে বর্তমান বিধায়কের ব্যাখ্যা, ‘‘কারণ বিধায়কগিরি। এই শব্দটার উপর খেয়াল করবেন। বিধায়কগিরি কেমন করে করতে হয় আমি জানি না। এই বিধায়কগিরি চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমার শিক্ষক রূপে যাঁকে বরণ করে নিয়েছি তিনি অসীম মাজি। ওঁর থেকেও শিখব। তাই বর্তমান বিধায়কও উনি।’’
বলাগড় তৃণমূলের একটি শিবিরের অবশ্য মত, শুক্রবার জিরাটে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছে তাতে প্রাক্তন এবং বর্তমান বিধায়কের সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। এ বার বলাগড়ের আগের বিধায়ক অসীমকে টিকিট দেয়নি দল। তার বদলে মনোরঞ্জনকে প্রার্থী করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে জেতার পর দুই শিবিরের মধ্যে নানা কারণে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল বলেও বলাগড়ের জোড়াফুল শিবিরের একাংশের বক্তব্য। গত বছর অগস্টে জিরাটের বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে ছবি-হোর্ডিং লাগানো নিয়ে দুই শিবিরের বিরোধ ভিন্ন মাত্রা পায়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন মনোরঞ্জন। ফেসবুকে একের পর এক পোস্টও করেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, দলের উচ্চনেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এর পর বেশ কিছু দিন বিরতি নিয়ে মরোনঞ্জন ফিরলেন ভিন্ন রূপে।
মনোরঞ্জনের এই আহ্বান নিয়ে অসীমের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার দরজা খোলা। হৃদয় আমার বড়।’’ বলাগড়ের তৃণমূল শিবিরে এমন মিলনান্তক দৃশ্য দেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের এক জন তো রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে…
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy