Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
River Erosion

Erosion: ফের বেলাড়িতে হুগলি নদীর বাঁধে ধস, অবরোধ

পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘পোর্ট ট্রাস্ট দীর্ঘদিন নদী ড্রেজিং করেনি। জাহাজগুলি নদীর পশ্চিম দিক ঘেঁষে যাতায়াত করছে।’’

শ্যামপুরের বেলাড়ি পঞ্চায়েতের পূর্ব বাসুদেবপুরে হুগলি নদীর বাঁধে ধস।

শ্যামপুরের বেলাড়ি পঞ্চায়েতের পূর্ব বাসুদেবপুরে হুগলি নদীর বাঁধে ধস। ছবি: সুব্রত জানা

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্যামপুর শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৪৭
Share: Save:

মাসখানেক আগে শ্যামপুর-১ ব্লকের বেলাড়ি পঞ্চায়েতের পূর্ব বাসুদেবপুরে হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ের বাঁধে প্রায় ৫০ ফুট ধস নেমেছিল। সেচ দফতর শালবল্লার পাইলিং করে মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামত করেছিল। মঙ্গলবার রাতে তার কিছুটা দূরে আবার ধস নামল। এ বার প্রায় ২০০ ফুট নদীবাঁধে ধস নেমেছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি।

আতঙ্কে বাঁধ সংলগ্ন এলাকার লোকজন বাড়ি খালি করে অন্যত্র ঠাঁই নিচ্ছেন। বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। বার বার কেন ধস নামছে, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সঠিক ভাবে বাঁধ মেরামত হচ্ছে না। বাঁধের উপর দিয়ে স্থানীয় একটি কারখানার ভারী যান চলাচলের জন্য বাঁধ বসে যাচ্ছে। অবিলম্বে বাঁধের উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করা এবং সঠিক ভাবে বাঁধ মেরামতের দাবিতে বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা প্রায় দু’ঘণ্টা ৫৮ গেটের কাছে উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড অবরোধ করেন। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। ধস মেরামতি শুরু করে দেয় সেচ দফতর।

এ দিন ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘পোর্ট ট্রাস্ট দীর্ঘদিন নদী ড্রেজিং করেনি। জাহাজগুলি নদীর পশ্চিম দিক ঘেঁষে যাতায়াত করছে। সেই কারণে জলের ধাক্কায় নদীর পশ্চিম পাড় ভাঙতে শুরু করছে। পোর্ট ট্রাস্টকে অনুরোধ করব, যাতে নদীর ড্রেজিং দ্রুত শুরু করে। না হলে পরবর্তী সময়ে আরও ভয়াবহ ধস দেখা দেবে।’’
সকাল থেকে মন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাঁধ মেরামতের কাজ তদারকি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসক শমীককুমার ঘোষ এবং সেচ দফতরের একাধিক আধিকারিক। মন্ত্রী জানান, সেচ দফতরকে বলা হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামত করতে।

সেচ দফতরের আধিকারিক চন্দ্রশেখর রাওপান বলেন, ‘‘আপাতত শালবল্লার পাইলিং করে মাটি ফেলে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করা হবে। পরে পাকাপাকি ভাবে বোল্ডার ফেলে বাঁধ মেরামত করা হবে।’’

স্থানীয় এক প্রবীণ জানান, এক সময়ে বাঁধ দেখাশোনা করার জন্য সেচ দফতরের পক্ষ থেকে লোক নিয়োগ করা হত। তিনি বাঁধ দেখাশোনা করতেন। বাঁধে সামান্য ফাটল দেখা দিলে সে জায়গা অতি দ্রুত মেরামত করা হত। তিনি বলেন, ‘‘সেচ দফতরের উচিত ২৪ ঘণ্টা বাঁধ দেখাশোনা করার জন্য লোক নিয়োগ করা।’’ এ নিয়ে সেচ দফতর কোনও মন্তব্য করেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

River Erosion hooghly river dam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy