Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

ভ্রুকুটি না থাকলেও করোনা পরীক্ষায় ফের জোর হুগলিতে

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাজ্যের নির্দেশিকা এসেছে। সংশ্লিষ্ট জায়গায় আমরা তা ছড়িয়ে দিয়েছি। করোনা পরীক্ষা বাড়ানো হবে।

ফের কোরনা পরীক্ষায় জোর হুগলিতো।

ফের কোরনা পরীক্ষায় জোর হুগলিতো। প্রতীকী চিত্র।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়  , প্রকাশ পাল
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৫৭
Share: Save:

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। কিন্তু চিন-সহ কয়েকটি দেশের পরিস্থিতি কেন্দ্রকে ভাবাচ্ছে। তাদের নির্দেশের ভিত্তিতে কোভিড নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় সতর্কতার বার্তা পাঠিয়েছে তারা। সেই নির্দেশিকা পেয়ে বড়দিন এবং নতুন বছরের মুখে এ নিয়ে নড়াচড়া শুরু হল হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তবে, কোভিডকে হাল্কা ভাবে না নিয়ে প্রতিরোধে জোর দেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাজ্যের নির্দেশিকা এসেছে। সংশ্লিষ্ট জায়গায় আমরা তা ছড়িয়ে দিয়েছি। করোনা পরীক্ষা বাড়ানো হবে। বিশেষত যে সব বয়স্ক মানুষ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ় নেননি, তাঁদের দ্রুত তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’’

হুগলিতে এখন করোনার কামড় কার্যত নেই। অধিকাংশ দিন সংক্রমণ শূন্য থাকছে। কোনও কোনও দিন এক জন সংক্রমিত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত পয়লা নভেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫২ দিনে এই জেলায় ১৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরীক্ষা করে এই ক’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। পজ়িটিভিটির হার আধ শতাংশেরও কম (.৪৩%)। সংক্রমিতদের অধিকাংশেরই শারীরিক জটিলতা তেমন থাকছে না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার হচ্ছে না।

তবে, রাজ্যের নির্দেশিকা পেয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, জেলার বড় হাসপাতালগুলিতে মূলত শ্বাসকষ্টের রোগী, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি রোগীদের কোভিড পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছিল। এখন আরও নির্দিষ্ট ভাবে ওই নির্দেশ কার্যকর করা হবে।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গত এক মাসে সংক্রমিতদের জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য নমুনা পাঠানো হবে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। কোভিডের নতুন কোনও প্রজাতি বা ভ্যারিয়েন্ট এসেছে কি না, তা জানতেই ওই পরীক্ষার কথা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। গত এক মাসে সংক্রমিতদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, করোনার উপসর্গ থাকলেই আরটিপিসিআর করার কথা বলা হয়েছে।

এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘আতঙ্কিত না হয়ে মানুষ যাতে সর্তকতার উপরে গুরুত্ব দেন, সেটাই দেখতে হবে। এখন কার্যত সবাই মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। সেই অভ্যাস ফিরিয়ে আনার কথাও হয়তো এ বার বলা শুরু করতে হবে।’’

চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, প্রয়োজনে উৎসবে অযথা ভিড়ে মিশে যাওয়ার প্রবণতা থেকে যথাসম্ভব সরে আসা, মাস্ক পরা দরকার। করোনার বাড়বাড়ন্ত হলে, অর্থনীতি এবং সমাজজীবনে কী প্রভাব পড়ে, কারও অজানা নয়। সেই পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে জন্য সতর্ক হওয়া উচিত।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Covid19 Test Hooghly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE