হাওড়া পাইকারি সব্জি বাজারে বরফ তৈরির গ্যাস লিক করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। — নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ায় বাজারের মধ্যে বরফকল থেকে গ্যাস লিক করে বিপত্তি। গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝাল গন্ধে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোলাবাড়ি থানার পুলিশ এবং দমকল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারখানার বৈধ কাগজপত্র ছিল কি না তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। পুলিশ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ৩টে। হাওড়া পাইকারি সব্জি বাজারে বরফ তৈরির গ্যাস লিক করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অ্যামোনিয়া গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ঘটনাস্থলে আসে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ ও দমকল। তারা আশপাশ থেকে লোক জনদের সরিয়ে দেওয়া হয়। গ্যাসের তীব্র ঝাঁঝাল গন্ধে কাজ করতে সমস্যায় পড়েন পুলিশকর্মীরাও। পরবর্তী সময়ে তাঁরা মুখে মাস্ক লাগিয়ে কাজ করতে থাকেন।
এ দিকে বাজার এলাকা হওয়ায় সেখানে সেই সময় প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়েন। গ্যাসের প্রভাবে চোখ জ্বালা করতে থাকে বহু মানুষের। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পুলিশ বাজার খালি করে দেয়। বরফকলটির মালিক পাপ্পু সিংহ। তাঁকে পুলিশ কারখানার সমস্ত নথি দেখাতে বলেন। তিনি জানান, তাঁর কারখানার সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। সমস্ত নিয়ম মেনেই বরফকল চলছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁর কাছে কোনও নথি নেই। পরে তিনি পুলিশকে নথি দেখাবেন। পুলিশ অবশ্য পাপ্পুর কথায় বিশ্বাস করেনি। সিল করে দেওয়া হয় কারখানাটি।
বিনয় সোনকর নামে এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আগেও এই কারখানা থেকে গ্যাস লিক হয়েছে। এটা বাজার এলাকা। সব সময় প্রচুর মানুষের আনাগোনা। কাছেই রয়েছে স্কুল, বাসস্ট্যান্ড। দিনের বেলা প্রচুর পড়ুয়া এখানে ঘুরে বেড়ায়। আগে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটলেও কোনও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়নি। দমকল ঠিক সময়ে না এলে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।’’
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বরফকলের গ্যাস লাইন সারানোর কাজ চলছিল। সেই সময় সমস্যা হয়। সামান্য গ্যাস লিক হয়েছে। তবে বড় কিছু হয়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, নিয়ম না মেনে বরফকলটি চলছিল। যে কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে গোলাবাড়ি থানা সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy