দু’টি পাঁচিলের মাঝে আটকে চারটি কুকুরছানা। আর সন্তানদের বার করতে না পেরে চিৎকার করছে মা কুকুরটিও। প্রতীকী ছবি।
সেতুর দুই পাঁচিলের মাঝখানে আটকে পড়ে টানা চিৎকার করে যাচ্ছিল সদ্যোজাত চারটি কুকুরছানা। পাশে চিৎকার করছিল তাদের অসহায় মা-ও। চিৎকার শুনে থমকে দাঁড়িয়েছিলেন দুই কলেজপড়ুয়া। ছানাগুলিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও বিফল হন তাঁরা। এর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিস্থিতির ছবি দিলে তা দেখে ছুটে আসেন পশুপ্রেমী একটি সংস্থার প্রতিনিধিরা। আসে দমকলও। এর পরে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল বাহিনী উদ্ধার করে চার পথকুকুরছানাকে।
সোমবার দুপুরে হাওড়ার যোগেশচন্দ্র কলেজের সামনে বঙ্কিম সেতুতে এই ঘটনা ঘটেছে। কলেজে যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে পড়া দুই পড়ুয়া দেখেন, সেতুর রেলিংয়ের দু’টি পাঁচিলের মাঝে আটকে চারটি কুকুরছানা। আর সন্তানদের বার করতে না পেরে চিৎকার করছে মা কুকুরটিও। দেড় ফুটের ব্যবধানেদু’টি পাঁচিলের মধ্যে দিয়ে এক জন মানুষ কোনও রকমে গলে যেতে পারেন। স্থানীয়দের ধারণা, গাড়ি চাপা পড়া থেকে রক্ষা করতেকোনও ভাবে মা কুকুরটি তার সন্তানদের ওই গর্তে রেখে দিয়েছিল। তার ফলেই এই বিপত্তি।
সমাজমাধ্যমে ওই কলেজপড়ুয়াদের দেওয়া ছবি দেখেই ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান একটি পশুপ্রেমী সংস্থার প্রতিনিধিরা। আসে দমকল বাহিনীও। তত ক্ষণে স্থানীয়েরাও সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁরাও কুকুরছানাগুলিকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন।
এর পরে স্থানীয়েরা ও দমকলকর্মীরা ওই ফাঁক দিয়ে গলে, শাবল দিয়ে পাঁচিলের গা কিছুটা চেঁছে সেখান দিয়ে ছানাগুলিকে বার করে আনেন। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা সম্ভব হয় তাদের। উদ্ধারের পরে ছানাগুলিকে অ্যাম্বুল্যান্সে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পথকুকুরদের নিয়ে কাজ করা, হাওড়ার একটি সংস্থার সদস্য শৈলেশ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘খবর পেয়ে আমরা ঠিক সময়ে না পৌঁছলে কুকুরছানাগুলিকে বাঁচানো যেত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy