—প্রতীকী চিত্র।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের ধারে সোমবার ভোরে লাগোয়া দু’টি বাড়িতে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে ওই দু’টি বাড়িতে রেলের প্যান্ট্রি কারের চার জন কর্মী ঘুমোচ্ছিলেন। আগুন লেগেছে বুঝে তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ফলে, অল্পের জন্য রক্ষা পান। খবর পেয়ে দমকল এলেও সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়ে ঢুকতে না পারায় বাড়ি দু’টি কার্যত ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল কর্মীরা পাম্প নিয়ে গিয়ে পাশের পুকুর থেকে জল নিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রাথমিক তদন্তে দমকল আধিকারিকদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে।
দমকল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন লাগে। পাশাপাশি থাকা একতলা বাড়ি দু’টিতে টিনের ছাউনি ও বাঁশের মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়। আগুন লাগার পরে দু’টি বাড়ির একটি থেকে বেরিয়ে আসা আতঙ্কিত বাসিন্দা রাজেন্দ্র পাণ্ডে বললেন, ‘‘লাগোয়া দু’টি বাড়িতে চার জন ঘুমোচ্ছিলাম। আগুন লেগেছে বুঝে উঠে পড়ি। প্রথমে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। তার পরে তা ছড়ায় লাগোয়া বাড়িতে। নিজেরাই জল দিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করি। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দমকলে খবর দিই।’’
দমকল সূত্রের খবর, আগুনে বাড়ি দু’টির ভিতরের সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ওই দু’টি বাড়ি থেকে দমকলকর্মীরা তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করেছেন। রেলের প্যান্ট্রি কারের কর্মীরা ওই বাড়ি দু’টিতে ভাড়া থাকেন। প্যান্ট্রি কারের জন্য রান্নাবান্নাও করা হয় সেখানে। শিবপুর দমকল কেন্দ্রের অফিসার প্রদ্যোত মাল বলেন, ‘‘সরু রাস্তার জন্য দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঢুকতে না পেরে বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল। দমকলকর্মীরা পাম্প নিয়ে গিয়ে পাশের পুকুর থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজ করেছেন।’’
জুয়ার টাকা জোগাড়ে বাইক চুরি, ধৃত যুবক
তার নেশা জুয়া খেলা। সেই জন্য দরকার টাকা। আর সেই টাকা জোগাড় করার জন্যই সে বেছে নিয়েছিল মোটরবাইক চুরির পথ। ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ এক মোটরবাইক চোরকে গ্রেফতার করে এই তথ্য জানতে পেরেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম কাশেম গাজি। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোমবার পর্যন্ত ভাঙড় এলাকার ছ’টি মোটরবাইক চুরির কিনারা করেছে পুলিশ। সেগুলি উদ্ধারও করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসে উত্তর কাশীপুর থেকে একটি মোটরবাইক চুরি যায়। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার সময়ে তদন্তকারীরা দেখেন, অভিযুক্তের হাতে একটি নির্দিষ্ট রঙের হেলমেট রয়েছে। এ ছাড়া, তার হাতে রয়েছে চেক নকশার একটি রুমাল। এক তদন্তকারী জানান, এর পরে শনিবার উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ টহল দেওয়ার সময় কাশেমকে দেখতে পায়। তার হাতে ছিল ওই রুমাল এবং হেলমেট। এর পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে সে মোটরবাইক চুরির কথা স্বীকার করে নিয়ে জানায়, জুয়া খেলার জন্যই সে এই কাজ করেছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত তারের সাহায্যে মোটরবাইকের লক খুলে ফেলত অনায়াসে। পরে সেই সব বাইক গ্রামের প্রভাবশালী লোকেদের কাছে চলে যেত। বিপদে পড়েছে, টাকার দরকার বলে সে তিরিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকায় বাইক বিক্রির রফা করত। অগ্রিম বাবদ দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা চাইত সে। জানাত, মোটরবাইকের নথি দিয়ে সে বাকি টাকা নিয়ে যাবে। এর পরে আর সে টাকা নিতে যেত না, কারণ তার কাছে চুরির মোটরবাইকের কোন বৈধ নথি থাকত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy