আরামবাগের দৌলতপুর যুবশক্তি নাট্য মন্দির (বাঁ দিকে)। খানাকুল ঘোষপুর সর্বজনীনের মণ্ডপ (ডান দিকে) । ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি নিয়ে এ বার অনেকটাই সচেতন আরামবাগ মহকুমার অনুমোদনপ্রাপ্ত পুজোগুলো। অল্প-বিস্তর থার্মোকলের দেখা মিললেও প্লাস্টিকের ব্যবহার নেই বললেই চলে।
একেবারেই থার্মোকল-প্লাস্টিক বর্জন করে বিশেষ দৃষ্টান্ত তৈরি করল খানাকুলের ঘোষপুর শিক্ষাকেন্দ্র এবং গ্রামবাসীবৃন্দর পরিচালনায় সর্বজনীন পুজো কমিটি।ঘোষপুর হাইস্কুল মাঠে তৈরি ওই মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে বাঁশ, বেত, মাটি, পাট, বস্ত্র, শীতলপাটি ও মাদুর। সঙ্গ দিয়েছে কুলো, ঝুড়ি, গাছের ডালপালাও। পুজোর থিম, ‘ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের পুনরুজ্জীবন এবং প্লাস্টিক-থার্মোকল বর্জন’। এ বছর ৫৭ বছরে পা দেওয়া পুজো কমিটির সম্পাদক হায়দার আলি বলেন, ‘‘পরিবেশ নিয়ে নিজেরা সচেতন হলে যে প্লাস্টিক বর্জন সম্ভব, তা বোঝা গেল। ৮ লক্ষ টাকা বাজেটের মধ্যেই পরিবেশ বান্ধব এবং একইসঙ্গে আকর্ষনীয় মণ্ডপ তৈরি হয়েছে।’’ মণ্ডপ চত্বর জুড়ে পরিবেশ রক্ষায় নানা সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
খানাকুলের পলাশপাই তরুণ দলের পুজোয় প্লাস্টিক, থার্মোকল ব্যবহার না করলেও কিছু ফোম ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান, কমিটির সম্পাদক সন্দীপ কারক। এই পুজোর থিম ‘স্বপ্নের উড়ান’। আরামবাগ শহরের দৌলতপুর যুবশক্তি নাট্য মন্দির গোষ্ঠীর পুজো কমিটির পুজো মণ্ডপে শুধুমাত্র নামের ফলকে থার্মোকলের ব্যবহার রয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক সজল কর্মকার বলেন, ‘‘আমরা টানা চার বছর ধরে প্লাস্টিক বর্জন করেছি। এ বার থার্মোকলও প্রায় বন্ধ করছি।’’
মহকুমায় অনুমোদনপ্রাপ্ত মোট পুজো ৫৯২টি জানিয়ে এসডিপিও (আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, “পুজো মণ্ডপে প্লাস্টিক ও থার্মোকল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন সরকারি শর্তাবলী নিয়ে পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। শর্তাবলী না মানলে পরবর্তী কালে সংশ্লিষ্ট পুজোর অনুমতি বাতিল
হবে। ধারাবাহিক ভাবে সচেতনতা প্রচারও চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy