টেটুয়া খাল। নিজস্ব চিত্র
পর্যটনের প্রসার ঘটানোর জন্য বাগনান-২ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো। কিন্তু চাষিদের সমস্যা বেড়েই চলেছে। সে দিকে পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির নজর নেই বলে অভিযোগ।
দীর্ঘদিন সংস্কার না-হওয়ায় কার্যত মজে গিয়েছে এখানকার গুরুত্বপূর্ণ টেটুয়া খাল। অন্তত তিনটি পঞ্চায়েতের নিকাশি ও চাষাবাদ নির্ভর করত এই খালের উপরে। কিন্তু সেই খাল থেকে জল না পেয়ে চাষিদের হাহাকার বাড়ছে। আর একটি পঞ্চায়েতের আরএলআই (রিভার লিফ্টিং ইরিগেশন) পাম্পগুলিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
হাল্যান, চন্দ্রভাগ, বাটুল বৈদ্যনাথপুর, মুগ বেনাপুর, আন্টিলা, শরৎ এবং ওড়ফুলি— এই সাত পঞ্চায়েত রয়েছে বাগনান-২ পঞ্চায়েত সমিতির আওতায়। টেটুয়া খাল শুরু হয়েছে গদাইপুরে দামোদরের স্লুস গেট থেকে। হাল্যান, চন্দ্রভাগ এবং বাটুল বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে তা বয়ে গিয়ে পড়েছে রূপনারায়ণে। এই খাল থেকে বেরিয়েছে একাধিক ‘সুতি’ খাল। কিনতু মূল খালটিই মজে যাওয়ায় চাষের কাজে সঙ্কট বেড়েছে।
হাল্যানের উপপ্রধান মাসুদ রহমান মানছেন, ‘‘টেটুয়া খাল সংস্কার খুবই জরুরি।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমি সেন বলেন, ‘‘এই খাল সেচ দফতরের। তা ছাড়া অত বড় খাল সংস্কার করার টাকা আমাদের নেই।’’ বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘আমি বহুবার সেচ দফতরের কাছে খালটি সংস্কারের জন্য আবেদন করেছি। কাজ হবে বলে সেচ দফতর জানিয়েছে।’’
হাল্যান পঞ্চায়েতে দামোদরের পাড়ে সাতটি আরএলআই পাম্প বন্ধ থাকায় বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সমিতির সভাপতি বলেন, ‘‘পাম্পগুলি চালানোর জন্য বিদ্যুতের বিল চাষিদের দিতে হয়। আমরা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে্ সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।’’
ধান বা আনাজ চাষিরা সমস্যায় পড়লেও এখানকারল ফুলচাষিরা কিছুটা ভাল আছেন। সাতটি পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ জায়গাতেই ফুল চাষ হয়। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বহু নীচু জমি মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছে। ফলে, ফুলচাষিরা উপকৃত হয়েছেন।গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েত সমিতি পর্যটনের প্রসারকে ‘পাখির চোখ’ করেছিল। সেই কাজে তারা অনেকটাই সফল। ইতিমধ্যেই সংস্কার করা হয়েছে মেদিনীপুর খাল। আন্টিলায় এই খাল সংস্কার করে দু’ধারে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। সপ্তাহান্তে পর্যটকদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে কটেজ। সামতাবেড়ে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের বাসভবনের কাছে করা হচ্ছে ‘শরৎবন’। এখানে বিভিন্ন মডেল ও লেখার মাধ্যমে কথাশিল্পীর লেখা গল্প-উপন্যাসের চরিত্রগুলিকে তুলে ধরা হবে। থাকবে রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও। এর জন্য জেলা পরিষদ, পর্যটন দফতর এবং পঞ্চায়েত সমিতি মিলিত ভাবে খরচ করছে পাঁচ কোটি টাকা।
তবে, সাতটি পঞ্চায়েতের কোথাও চালু হয়নি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিঅবশ্য দাবি করেছেন, প্রতিটি পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েকটিতে কাজও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy