অবাধে প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছে ভোট কেন্দ্রে। ছবি: তাপস ঘোষ।
এ বার পরিবেশবান্ধব পঞ্চায়েত ভোট করার জন্য দু’দিন আগেই নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ পঞ্চায়েত ভোট। মঙ্গলবার গণনা। কমিশনের নির্দেশিকা জারির পরেও শেষ দুই পর্ব কতটা পরিবেশবান্ধব থাকবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। ভোটকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, একাধিক দফার প্রশিক্ষণে পরিবেশ বাঁচানোর কোনও বার্তা মেলেনি।
চন্দননগর পরিবেশ অ্যাকাডেমির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবেশ বাঁচাতে ভোট-পর্বের শুরুতেই আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কমিশনের তেমন কোনও উদ্যোগ দেখলাম না।’’
ভোট ঘোষণার পর থেকেই নানা প্রান্তে প্রচারে প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার দেখা গিয়েছে। এমনকি, গাছের গায়ে পেরেক পুঁতে প্রচারের নজিরও রয়েছে হুগলিতে। তাই শেষবেলায় কমিশনের ওই নির্দেশিকা জারির পরেও সংশয় যাচ্ছে না পরিবেশকর্মীদের। তাঁদের মতে, শেষ দুই পর্বকে প্লাস্টিকবর্জিত পরিবেশবান্ধব রাখতে গেলে যে সময় দরকার ছিল, কমিশনের নির্দেশিকা জারির পরে তা কার্যত মেলেনি।
শুক্রবার চুঁচুড়া-মগরা এবং পোলবা দাদপুর ব্লক অফিসে দেখা গেল ভোটের জন্য চূডান্ত ব্যস্ততা। ভোটকর্মীদের হাতে ভোটের সামগ্রী বিলির সময়ে অতিরিক্ত প্লাস্টিকের ব্যবহার দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, "যতটা সম্ভব প্লাস্টিক বর্জনের নির্দেশিকা আমরা মেনে চলি। কর্মীদের ব্যবহারের জন্য এ বারেও তাই পাটের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। তবে, ভরা বর্ষায় ভোট। তাই ভোট-বাক্স ঢাকার জন্য একটি করে প্লাস্টিক দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রয়োজন ছাড়া তা ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।’’
অভিজ্ঞ ভোটকর্মীরা জানান, তাঁরা পরিবেশ-নির্দেশিকা মেনে কাজ করেন। কমিশনের পুরনো নির্দেশিকা মেনে, প্লাস্টিকের গ্লাস, থার্মোকলের থালা প্রভৃতি ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু সর্বত্র তা রক্ষিত হবে কি না, উঠছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy