পোড়া আমবাগান ঘুরে দেখছেন পরিবেশকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
সম্প্রতি চন্দননগরের গর্জি এলাকার একটি জমির প্রায় ৩০০ আমগাছ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্ত করছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অত গাছ জ্বালিয়েদেওয়ার ঘটনায় পরিবেশকর্মী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে রীতিমতো প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
‘পরিবেশ অধিকার আন্দোলন’ নামে একটি সংস্থার প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। তাঁদের তরফে আইনজীবী কল্লোল রায় বলেন, ‘‘দেখে মনে হয়েছে, কোনও দাহ্য তরল ঢেলে পোড়ানো হয়েছে। কারণ, অনেক জায়গায়মাটি ভেদ করে এক-দেড় ইঞ্চি পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। ঘটনা কথাদেশের যত দূর পর্যন্ত পৌঁছনো যায়,সেই চেষ্টা করব।’’ কল্লোল বাদেও সমাজকর্মী শুভপ্রতিম রায়চৌধুরী-সহ আরও তিন জন ওই দলে ছিলেন। বাগানেরমালিক রামচন্দ্র, তাঁর স্ত্রী এবং এলাকাবাসীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কথা বলেন।
বছর পাঁচেক আগে বিঘে পাঁচেক জমিতে আমগাছের চারা বসায় রামচন্দ্রদের পরিবার। রামচন্দ্র জানান, তাঁদের জমিতে যাতায়াতের পথ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। একটি সংস্থার তরফে সামনের অংশে জমি কিনে বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ফলে, রামচন্দ্ররা নিজেদের বাগানে যেতে পারছিলেন না। বিষয়টি থানায় জানানোর পরে পুলিশ এসে বাঁশ খুলে দেয়।
রামচন্দ্রের বক্তব্য, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, ওই জমি পাকাপাকি ভাবে ঘিরে ফেলবে ওই সংস্থা। তা হলে আমরা বাগানে যেতেই পারব না। বিষয়টি পুরসভায় জানিয়েছি। তবে পুর-কর্তৃপক্ষের কোনও আশ্বাস পাইনি।’’ চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী অবশ্য জানান, পুর-কমিশনারকে তিনি বিষয়টি দেখতে বলেছেন। মেয়রের কথায়, ‘‘সামনের জমি ঘিরে ফেললে পরের জমিতে যাওয়ার রাস্তার জন্য আইনে কোনও পথ থাকলে, নিশ্চয়ই সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy