দেবার্ঘর বাড়ি আরামবাগ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বৃন্দাবনপুরে। পরিবারের লোকেরা জানান, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ইউক্রেনের লিভিভ শহরে ডাক্তারি পড়তে গেছেন দেবার্ঘ। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ৩ মার্চ বাড়ি ফিরে আসবে ঠিক করেছিলেন।
দেবার্ঘর বাবা ও মা নিজস্ব চিত্র
ডাক্তারি পড়তে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছে আরামবাগের ছেলে দেবার্ঘ পোড়ে। ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তার পরিবারের লোকেরা। কী ভাবে ফিরবে? কবে ফিরবে? কখন ফিরবে বাড়ির ছেলে সেই আশায় তাকিয়ে রয়েছে তার পরিবার।
দেবার্ঘর বাড়ি আরামবাগ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বৃন্দাবনপুরে। পরিবারের লোকেরা জানান, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ইউক্রেনের লিভিভ শহরে ডাক্তারি পড়তে গেছেন দেবার্ঘ। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ৩ মার্চ বাড়ি ফিরে আসবে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে ইউক্রেনের। বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁর। তাই ভারত সরকারের কাছে দেবার্ঘর পরিবারের লোকেদের আবেদন সরকার যেন ছেলেকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে।
বাবা আশিস পোড়ে ছোটখাটো একজন আলু ব্যবসায়ী। মা কৃষ্ণা গৃহবধূ। দেবার্ঘর বাবা জানান,ভারতীয় দূতাবাস থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সমস্ত কিছুই গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। যে কোনও সময়েই তাদের নিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে। আর ছেলের কাছে এই বার্তা পেয়ে একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছেন তারা।
অন্য দিকে একই পরিস্থিতি কিভে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা সম্বিত দাসের। গত মাসেই ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। দিন পনের আগেই তিনি ইউক্রেনে ফেরেন।
যুদ্ধের মধ্যে কিভ শহর থেকে কিছুটা দূরে ভেরেসনেভা স্টেটে একটি আবাসনে বর্তমানে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।ওই একই আবাসনে সম্বিতের সঙ্গে রয়েছেন নন্দীগ্রামের শুভাশিষ ভুঁইয়া, মথুরাপুরের অর্ঘ মালিক, জয়নগরের অলোক হালদার।
সম্বিতের বাবা সুরজিৎ দাসের একটি মুদিখানা দোকান আছে। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে যেখানে পড়তে গিয়েছে সেখানে যুদ্ধ চলছে স্বাভাবিক ভাবে ভয় তো হবেই। বাড়িতে আসার পর অনলাইনে ক্লাস চলছিল। চলতি মাসেই ইউক্রেনে ফিরে যায়। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। সরকারের কাছে আবেদন করব তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করতে।’’
হিন্দমোটর রবীন্দ্র নগরের দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়ও ডাক্তারি পড়তে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন। তাঁর বাবা দেবাশিস চক্রবর্তী জানান,খুব খারাপ অবস্থায় আছে ওরা। ছেলে বলেছে চিন্তা কোরো না ওখানে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া সবাই এক সঙ্গে আছে। যা সিদ্ধান্ত হবে তা এক সঙ্গেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy