—প্রতীকী চিত্র।
প্রথমে আতঙ্কিত কিশোরী মেয়ের কথা ভেবে পরিবারের অনিচ্ছা, পরে থুতু পরীক্ষায় যক্ষ্মা ধরা পড়া— আপাতত তাই ডাক্তারি পরীক্ষা নিয়েই সংশয়। হাওড়া জেলা হাসপাতালে যে কিশোরীকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ, ইতিমধ্যে তার থুতু পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কিশোরীর শরীরে মাল্টি ড্রাগ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বাসা বেঁধেছে। অবিলম্বে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। বুধবারই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক বিশেষজ্ঞ দল কিশোরীর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছে। ফলে নিগৃহীতার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে আদালতে সেই রিপোর্ট আগামী রবিবার পুলিশ জমা দিতে পারবে কিনা, সংশয় রয়েছে। অথচ পকসো ধারায় সরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা অপরিহার্য।
ঘটনাটি ঘটেছিল হাসপাতালে পিপিপি মডেলে চলা সিটি স্ক্যানের ঘরে। গত শনিবার রাতে ১২ বছরের এক কিশোরীকে সেখানে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে এক পুরুষ সহায়কের বিরুদ্ধে। বেসরকারি সংস্থার অস্থায়ী কর্মী আমন রাজকে পুলিশ ওই রাতেই পকসো ধারায় গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার পর হাওড়া জেলা হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক নিগৃহীতার শারীরিক পরীক্ষা করতে গেলে তার পরিবার আপত্তি করায় সে দিন আর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়নি। ‘ট্রমা’য় আক্রান্ত ওই কিশোরী সুস্থ হলে ফের পরীক্ষা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু সব হিসাব গোলমাল করে দেয় কিশোরীর থুতু পরীক্ষার রিপোর্ট। বুধবার হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত জানান, কিশোরীর থুতু পরীক্ষার রিপোর্ট এসে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওর মাল্টি ড্রাগ রেজ়িস্ট্যান্ট টিউবারকুলোসিস বা মাল্টিড্রাগ প্রতিরোধী যক্ষ্মা হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘এই রিপোর্ট পাওয়ার পরে স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিশেষ চিকিৎসক দল মেয়েটির বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। এখন থেকে ওই দলটি বাড়ি গিয়ে মেয়েটির চিকিৎসা করবে।’’
কিন্তু আগামী রবিবার এই ঘটনায় ধৃত সিটি স্ক্যান বিভাগের কর্মীকে পুলিশ হেফাজত থেকে ফের আদালতে তোলার কথা। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই দিন মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়ে ধৃতের আরও সাত দিন পুলিশি হেফাজত চাওয়া হবে। কিন্তু তা আদৌ সম্ভব কিনা, যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘পকসো ধারায় আদালতে নিগৃহীতার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন। আমরা তাই ওই পরীক্ষা কয়েক দিনের মধ্যে করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব কিনা, বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy