(বাঁ দিকে) কল্যাণ ঘোষ এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড়ে আবার রাজনীতি করার চেষ্টা করলে তৃণমূল কর্মীরা তা মেনে নেবেন না। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। শনিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে জেলার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে নাম না করে এই মন্তব্যই করলেন হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূল সভাপতি তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। পাল্টা বর্তমানকে খোঁচা দিয়েছেন রাজীবও। তাঁর দাবি, কল্যাণ মগডালে বসে থাকা নেতা!
ডোমজুড় কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন রাজীব। জেলার রাজনীতিতেও যথেষ্টই পরিচিতি ছিল তাঁর। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে চার্টার্ড বিমানে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার পর বিজেপির প্রতীকে সেই ডোমজুড় থেকেই লড়াই করেছিলেন তৃণমূলের কল্যাণের বিরুদ্ধে। কিন্তু বড় ব্যবধান হেরে যান রাজীব। পরে বিজেপি ত্যাগ করে আবার তৃণমূলে এলেও সে ভাবে এখনও দাপট দেখাতে পারেননি। তাঁর পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র, ডোমজুড়ে বেশ কয়েক বার ঢোকার চেষ্টা করলেও রাজীবকে কালো পতাকা দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তবে ইদানীং একাধিক দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর উদ্বোধনে রাজীবকে আবার জেলায় দেখা যাচ্ছে। ডোমজুড় এলাকায় কানাঘুষোও চলছে, রাজীব আবার হাওড়ায় সক্রিয় হতে চলেছেন। তাতেই প্রমাদ গুনছেন কল্যাণের অনুগামীরা। দলের বিজয়ার অনুষ্ঠানে কল্যাণের গলায় রাজীবের নাম না করে তাঁকে হুঁশিয়ারিকেও তারই বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিজয়ার অনুষ্ঠান সেরে বেরিয়ে আসার পথে কল্যাণ কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেখানে রাজীবের নাম একবারও নেননি তিনি। যদিও তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, কে রয়েছেন নিশানায়। তিনি বলেন, ‘‘দলের উচ্চ নেতৃত্ব যেটা করবে তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে, একটা কথা বিশ্বাস করি, যদি কোনও কারণে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে অন্য দলে ক্ষমতা ভোগ করার চেষ্টা করি এবং পরবর্তীতে আবার দলে ফিরে আসি, হয়তো আমাদের নেতারা মেনে নেবেন, কিন্তু কর্মীরা মানতে চান না। তাঁদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটবেই। ডোমজুড়ের কর্মীরা এটা মানবে না।’’
যা শুনে রাজীব বলছেন, ‘‘উনি (কল্যাণ ঘোষ) এখন যে অবস্থানে আছেন, তাতে তিনি জানেন না, তৃণমূল স্তরের অবস্থাটা কী। কী ভাবে কর্মীরা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে টেনে নিচ্ছেন। উনি মগডালে বসে কথা বলছেন। নিজের বুথে হারেন। তৃণমূলস্তরে ওঁর কোনও যোগাযোগই নেই।’’
অনুষ্ঠানে দলের কর্মীদের সম্পদ হিসাবে অভিহিত করেছেন কল্যাণ। পাশাপাশি, স্পষ্ট জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে ধরে থাকতে হবে। তা হলেই দাদাগিরি ও এলাকার রাশ নিজের হাতে রাখা যাবে। কর্মীদের সরাসরি সম্বোধনের মধ্যে দিয়েও আসলে কর্মীদের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বিরোধী মনোভাবকেই আরও উস্কে দিতে চাইলেন কি ডোমজুড়ের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক? শনিবারের মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যের পর ডোমজুড়ের জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy