রেলকর্মীর মাথা কেটে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হল সোমবার। দশমীর দিন সন্ধ্যায় হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপে বস্তাবন্দি একটি দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে নিহত রেলকর্মী সুরেশ সাউয়ের স্ত্রী রাজেশ্বরী সাউ-সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের দু’জনকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়।
সুরেশ হত্যায় অভিযুক্ত তাঁর আত্মীয় জি শেখর এবং রাজেশ্বরীর প্রেমিক স্বপন সাঁতরা ওরফে মিঠুনকে পুলিশ নিয়ে যাওয়া হয় ডোমজুড়ের খেজুরতলা এলাকার একটি গ্যারাজে। ওই গ্যারাজের মালিক মিঠুন। সেখানে দু’জনকে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয় হত্যাকাণ্ডের। সেখানে মিঠুন এবং শেখর কী ভাবে চপার দিয়ে সুরেশের গলা কেটে খুন করেছিলেন তা দেখায়। গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন পুলিশের ফটোগ্রাফার। পাশাপাশি, ফরেনসিক দলকেও সঙ্গে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। ফরেনসিক দলের সদস্যরা গ্যারাজ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন:
-
বাড়ি থেকে খাবার এলেও ঢুকতে দেয়নি কাঁথি থানা! সৌমেন্দুকে অভুক্ত রাখার অভিযোগ আইনজীবীর
-
কাজ শেখানোর নামে ধর্ষণ! রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রামের বধূর
-
আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যাঙ্কের ভূমিকা বাতলে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন আমেরিকার তিন গবেষক
-
এ বার ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শুভেন্দুর ভাইকে, আবার ডাক শুক্রবার, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি সৌমেন্দুর
দশমীর দিন সন্ধ্যায় সলপে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঝোপের মধ্যে থেকে একটি বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীর নির্দেশে জগাছা থানা এবং ডোমজুড় থানার আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। সেই দল শেখর এবং মিঠুনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেরা করেই কিনারা হয় হত্যারহস্যের।