Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Stagnant Water

Heavy rainfall: থামেনি বৃষ্টি, জমা জলে ভোগান্তি দুই জেলায়

বুধবার সকাল থেকে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় শুরু হয় টানা বৃষ্টি। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি অবশ্য কমে।

 বুধবার সকালের বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁচলা এলাকা ।

বুধবার সকালের বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাঁচলা এলাকা । নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৪৫
Share: Save:

দুই জেলার বৃষ্টিতে দাঁড়ি পড়ল না বুধবারও। তবে গত তিন দিনের তুলনায় কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ। এ বার ভাবনা বাড়িয়েছে জমা জল।

পূর্ণিমার কটাল জল নামতে বেগ দিচ্ছে খানাকুল-২ ব্লকে। এখানকার ধান্যগোড়ি, মাড়োখানা, জগৎপুর এবং রাজহাটি-১ পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও আড়াই থেকে তিন ফুট জল জমে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ধান্যগোড়ি জেলেপাড়া সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদের ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্লাবিত হয়েছিল এলাকা। বুধবার বিকালে সেই ভাঙন পরিদর্শনে যান জেলাশাসক পি দীপাপ্রিয়া। তিনি বলেন, “রূপনারায়ণে এখনও ৬ মিটার উচ্চতার জল বইছে। ওই জল নেমে গেলেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে। প্লাবিত পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ১০০ জন মানুষকে তিনটি ত্রাণ শিবিরে
রাখা হয়েছে।”

শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের পিয়ারাপুর এবং রাজ্যধরপুর এলাকায় দিল্লি রোডের ধারে মাঠের জল নামেনি। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ। জলে ভাসছে বৈদ্যবাটী পুরসভা, পেয়ারাপুর ও বিঘাটি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, টানা বৃষ্টির জেরে জমেছে ঠিকই। তবে জল না বেরোতে পারার কারণ বৈদ্যবাটী খালের উপর বেহাল লকগেট। বৈদ্যবাটীর পুরপ্রশাসক অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘একে জায়গাগুলো নিচু। তার উপর দিল্লি রোড সম্প্রসারণের সময় থেকেই অনেক ইমারতি জিনিস নয়ানজুলিতে পড়ে রয়েছে। ওই সব সামগ্রী নিকাশিতে বাধা দিচ্ছে। তা ছাড়া লকগেটটি খারাপ থাকায় গঙ্গার জোয়ারের জল ঢুকছে এলাকায়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। পুরসভার তরফে বিভাগীয় দফতরে ফের বিষয়টি জানানো হবে।’’

এ বিষয়ে নিম্ন দামোদর ডিভিশন-২ এর নির্বাহী বাস্তুকার গৌতম অধিকারী বলেন, ‘‘লকগেটটি সংস্কারের বিষয়ে টেন্ডার হয়ে গেছে। খালের জল কমলে, ওই কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।’’

বুধবার সকাল থেকে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় শুরু হয় টানা বৃষ্টি। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি অবশ্য কমে। তবে এ বার ভাবনা বাড়িয়েছে জমা জল। জেলার গ্রামীণ এলাকার অনেক বাসিন্দার অভিযোগ, সুষ্ঠ নিকাশির অভাবে জল বেরোতে দেরি হচ্ছে। এ দিনও পাঁচলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এক ফুট জল দাঁড়িয়ে। ওই জল পেরিয়েই বাস ধরতে ছুটেছেন অফিসযাত্রীরা। অনেকে সেই জলে পড়ে গিয়ে বিপত্তিও হয়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার বেশ কয়েকটি অঞ্চল জলমগ্ন। পুরসভার তরফে পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চলেছে দিনভর।

অন্য বিষয়গুলি:

Stagnant Water
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy