বদনগঞ্জের তিলাটি গ্রামে এলাকাবাসীর ক্ষোভ। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
নলকূপ খারাপ এক বছর ধরে। শৌচাগারের দরজা ভাঙা। গোঘাট-২ ব্লকের বদনগঞ্জ-ফলুই ২ পঞ্চায়েতের তিলাড়ি গ্রামে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে গ্রামবাসীর পরের অভিযোগ ছিল, ঘরের অভাব নিয়ে। কিন্তু, তাঁদের মাঝপথেই থামিয়ে ‘দিদির দূত’, স্থানীয় সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বললেন, ‘‘বিষয়টি প্রধান দেখবেন।’’ তার পরেই প্রস্থান।
সাংসদের ‘দায়সারা’ জবাব এবং ‘দ্রুত’ প্রস্থান নিয়ে অসন্তুষ্ট গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে অবশ্য ওই কেন্দ্রে ঢুকে সাংসদ কথা বলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ভগবতী প্রতিহারের (দিগার) সঙ্গে। তবে, সাংসদের কথায় পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ ভরসা ভগবতীও পাননি।
সাংসদের দাবি, ‘‘মানুষের সব কথাই শুনেছি।’’
ভগবতীর অভিযোগ, নলকূপ খারাপ থাকায় পাশের বাড়ি থেকে জল আনতে হয়। শৌচাগারের দরজা ভাঙা। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে বহু বার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাঁর খেদ, এই কেন্দ্রে শিশুর সংখ্যা ৪৭। অন্তঃসত্ত্বা এবং প্রসূতি মিলিয়ে আরও ৭ জন। ঘর মাত্র একটি। চাল-সহ সরঞ্জাম সবই সেখানে রাখতে হয়। ছোট্ট দাওয়ায় এক দিকে কাঠের জ্বালানিতে রান্না চলে। অন্য দিকে শিশুদের বসাতে হয়। ধোঁয়ায় শিশুদের সমস্যা হয়। কিন্তু, অতিরিক্ত ঘরের দাবি নিয়েও সাংসদের কাছে সদুত্তর মেলেনি।
সাংসদ অবশ্য বলেন, ‘‘নলকূপ এবং শৌচাগার সংস্কার পঞ্চায়েত করে দেবে। ঘরের অভাব নিয়ে সিডিপিও-র সঙ্গে কথা বলা হবে।’’ সিডিপিও (সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের ব্লক আধিকারিক) দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রকল্পের সূচনার সময় ১৯৯৯ সাল নাগাদ খাস জমিতে কেন্দ্রটি তৈরি। জমির অভাবে অতিরিক্ত ঘর তৈরি করা যায়নি। কেউ জমি দিলে, সেই সমস্যা মিটবে।’’
এলাকাবাসীর ক্ষোভ, ‘দিদির সূরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে তাঁদের অপ্রাপ্তির অভিযোগ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে না। তিলাড়ির বাসিন্দা শ্রীমন্ত রায়ের অভিযোগ, ‘‘শুধু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বেহাল, তা নয়। গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা। পানীয় জলের সঙ্কট। ভোটের সময় বা অন্য কর্মসূচিতে শাসক দলের নেতারা এসে বলেন, ‘সব হয়ে যাবে’। হচ্ছে কই?’’ অন্য এক গ্রামবাসী অমিত ভুঁইয়া বলেন, ‘‘শৌচাগার পাচ্ছি না বলে, অভিযোগ করতে গেলাম। উল্টে কন্যাশ্রী, সবুজশ্রীর সাইকেল ইত্যাদি কী কী পাওয়া যাচ্ছে, সেই ফিরিস্তি শুনতে হল।’’
সাংসদ অবশ্য বলছেন, ‘‘অপ্রাপ্তির অভিযোগের জায়গা প্রায় নেই। পুরো অঞ্চলে শুধু দু’টি রাস্তা আর পানীয় জলের সামান্য সমস্যার কথ বলেছেন কয়েক জন। সে সব হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy