Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Arambagh

অভিষেকের ঘোষণাই সার, ফেরিঘাটে সেই বাড়তি মাসুল

সরকারি স্তরে বিবেচনা করে ফেরিঘাটগুলিতে নির্ধারিত মূল্য-তালিকা টাঙাতে বলা হবে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ ০৮:৩৭
Share: Save:

খেয়াঘাট পারাপারে সরকার নির্ধারিত মাসুলের অতিরিক্ত নেওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। কৃষিপণ্যের মাসুল নেওয়া হবে না বলেও বুধবার আরামবাগে এসে ঘোষণা করে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার থেকেই তা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন সেই নির্দেশ আরামবাগের কোথাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের কোনও পদে না থেকে অভিষেকের ওই ঘোষণার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ফেরিঘাটের বাড়তি মাসুল এবং কৃষিপণ্য বহন নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে একটি অনুরোধ এসেছে। সরকারি স্তরে বিবেচনা করে ফেরিঘাটগুলিতে নির্ধারিত মূল্য-তালিকা টাঙাতে বলা হবে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা যাতে নিখরচায় কৃষিপণ্য নিয়ে পারাপার করতে পারেন, সেই অনুরোধও সরকার ভাবনাচিন্তা করছে।’’

গত মঙ্গলবার ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে খানাকুল, গোঘাট, আরামবাগ ইত্যাদি এলাকা ঘোরার সময় গ্রামবাসীরা লিখিত ভাবে খেয়াঘাট পারাপার নিয়ে তাঁকে অনেক কিছু জানান বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তার ভিত্তিতেই তিনি বুধবার ওই ঘোষণা করেন।

কিন্তু বৃহস্পতিবার মহকুমার কোথাও ওই নির্দেশ মানা হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অভিষেকের দফতরে ফোন করে অভিযোগও জানান। আরামবাগ মহকুমাহ ৬টি ব্লকে মোট ফেরিঘাটের সংখ্যা ৪৩। বিভিন্ন ফেরিঘাটে মাথাপিছু সাইকেল নিয়ে পারাপারে গত বছর ভাড়া ছিল ৩ টাকা। এ বার সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৭ টাকা। মোটরবাইকের ক্ষেত্রে ৭ টাকার জায়গায় ১৩-১৪ টাকা। গাড়ির ক্ষেত্রে ২০ টাকার জায়গায় ৪০-৪৫ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ।

অভিযোগকারীদের মধ্যে খানাকুল ২ ব্লকের নতিবপুরের পরেশ কোটাল, বন্দরের নিমাই মান্না, পলাশপাইয়ের শেখ আসিফ আলি প্রমুখ জানান, মঞ্চে পরিবহণমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অভিষেকের ঘোষণা কোথাও কার্যকর হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা পাননি। ফলে, কৃষিপণ্য বহন এবং যাতায়াতে একই রকম টাকা নেওয়া হচ্ছে ফেরিঘাটগুলিতে।

অভিষেকের ওই ঘোষণার এক্তিয়ারের প্রশ্ন নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আরামবাগের পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তিনি সরকারের অংশ নন। নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এই ঘোষণার বাস্তবতা কোথায়? সভায় পরিবহণমন্ত্রী তো ছিলেন, তিনি ঘোষণা করতে পারতেন।” একই কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ।

বিরোধীদের বক্তব্য নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “দলের নেতা হিসাবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিয়ে তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করতেই পারেন। বিরোধীরাও তো শূন্যপদে নিয়োগ ইত্যাদি অনেক দাবি করেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh ferry ghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE