প্রতীকি ছবি
ডেঙ্গির একটি নতুন স্ট্রেনে প্লেটলেট দ্রুত হারে কমে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, এক দিকে হাওড়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ চলছেই। অন্য দিকে, আক্রান্তদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও প্লেটলেট অস্বাভাবিক দ্রুত হারে কমে যাওয়ায় তার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। তাজা রক্তের অভাবে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ‘ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট’ (রক্তের উপাদান পৃথক করার ইউনিট) তৈরি করেও প্লেটলেটের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের অন্য দিনগুলিতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে সে ভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে না ক্লাব বা সংস্থাগুলি। তাই তাজা রক্ত মিলছে না। সেই কারণে রক্তদান শিবিরের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শিবিরের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
হাওড়ায় ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২০০ ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে হাওড়া পুরসভা এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের বেশি। শুধু হাওড়া জেলা হাসপাতালেই প্রতিদিন ছয় থেকে সাত জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এ বছরে ডেঙ্গির নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অনেকেরই দ্রুত প্লেটলেট কমে যাওয়ায় তাঁদের প্লেটলেট দিতে হচ্ছে।
জেলা হাসপাতালের বক্তব্য, আগে প্লেটলেট বাইরে থেকে জোগাড় করতে হত। কিন্তু এখন ওই হাসপাতালেই নতুন ‘ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট’ তৈরি হওয়ায় সেখান থেকেই ডেঙ্গি রোগীদের প্লেটলেটের জোগান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে এসে আর প্লেটলেট পাওয়া যাচ্ছে না। তখন রোগীর জন্য প্লেটলেট জোগাড় করতে অন্যত্র ছোটাছুটি করতে হচ্ছে তাঁর আত্মীয়দের।
কিন্তু কেন?
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, প্লেটলেট চার দিনের বেশি রাখা যায় না। শনি ও রবিবার আয়োজিত রক্তদান শিবিরগুলি থেকে আসা তাজা রক্ত থেকে প্লেটলেট তৈরি করে তা রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দিন চারেক পরে নতুন প্লেটলেট আর মিলছে না। কারণ, সপ্তাহের কাজের দিনে রক্তদান শিবির প্রায় হয় না বললেই চলে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর আত্মীয়েরা।
হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাওড়ায় রক্তদান শিবিরের উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই শনি ও রবিবার শিবিরের আয়োজন করে থাকেন। সেই সংখ্যাটাও বর্তমানে বেশ কম। ফলে টেনেটুনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। কিন্তু সপ্তাহের মাঝে কোনও শিবির না হওয়ায় বৃহস্পতিবারের পর থেকে আর তাজা রক্ত মিলছে না। ফলে প্লেটলেটের অভাব দেখা দিচ্ছে।’’
এই সমস্যা মেটাতে এ বার জেলার রক্তদান শিবিরের আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। ওই আয়োজকদের সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতেও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy