আলমারি খুলতেই মায়ের দেহ দেখতে পেলেন ছেলে। — প্রতীকী চিত্র
তিন দিন ধরে মায়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না ছেলে। শনিবার সকালে তিনি আলমারি খুলতেই তাঁর চোখের সামনে মেঝেয় গড়িয়ে পড়ল মায়ের মৃতদেহ। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ায়। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ, ওই মহিলাকে খুন করে আলমারির মধ্যে দেহ রেখে চম্পট দিয়েছেন তাঁর স্বামী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাটের কাছে একটি বস্তিতে ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই বস্তির বাসিন্দা ভারতী ধাড়া (৬৫)। গত দিন তিনেক ধরে ভারতীর খোঁজ পাচ্ছিলেন না আশপাশের বাসিন্দারা। ভারতী এবং তাঁর স্বামী কাশীনাথ ধাড়া ওই বস্তিতে একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের ছেলেরা থাকেন আশপাশেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে কাশীনাথ এবং ভারতীর এক ছেলে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে জামাকাপড় বার করার জন্য একটি আলমারি খোলেন তিনি। আলমারি খুলতেই তিনি দেখতে পান ভিতর থেকে মায়ের হাত বেরিয়ে রয়েছে। আলমারির পাল্লা পুরোটা খুলতেই গড়িয়ে পড়ে ভারতীর দেহ।
ভারতীর ছেলে বিশ্বনাথ ধাড়া বলেন, ‘‘মা এবং বাবা একসঙ্গেই ওই ঘরে থাকত। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে মাকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বাবা বলল, ‘‘আমি জানি না।’’ তার পর মাসির বাড়ি-সহ আশপাশের এলাকায় খোঁজখবর নিই। মায়ের ছবি ফেসবুকেও দিই। কিন্তু কোনও খোঁজ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার চুঁচুড়া থানায় মিসিং ডায়েরি করি। আজ এক জন বলল, ‘‘তোমার মায়ের পোশাক দিলে বলে দেব উনি কোথায় আছেন।’’ সেই মতো মায়ের শাড়ি আলমারি থেকে বার করতে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পাই। কোথা থেকে কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না।’’
ভারতীর মৃতদেহ উদ্ধার হলেও খোঁজ মিলছে না তাঁর স্বামী কাশীনাথের। মনে করা হচ্ছে, কাশীনাথ তাঁর স্ত্রীকে খুন করে দেহ আলমারির মধ্যে রেখে দিয়ে চম্পট দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। কাশীনাথের সন্ধান চলছে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
ভারতীর বৌমা কাজল ধাড়া শ্বশুরের বিরুদ্ধে শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, ভারতীকে একদম সহ্য করতে পারতেন না কাশীনাথ। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে ঘর তালাবন্ধ করে রাখছিলেন কাশীনাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy