ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম আর আন্দোলনে নেই, শুধু কর্মসূচিতে আছে বলে মনে করেন দলের পলিটবুরোর সদস্য হান্নান মোল্লা। আন্দোলনে না থাকলে মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না বলেও তাঁর মত। হাতে-গরম উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলেছেন দিল্লির কৃষক আন্দোলনের কথা।
সিপিএমের দু’দিনের হাওড়া জেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে রবিবার। শেষ দিনে দলের পলিটবুরোর প্রতিনিধি হিসেবে হাওড়ায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সম্মেলনে হাজির হন হান্নান। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের উপস্থিতিতেই রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনায় হান্নান বলেন, ‘‘রাজ্যে দল এখন কর্মসূচির ভিত্তিতে চলছে। কোনও আন্দোলনে নেই।’’
আন্দোলনের গুরুত্ব বোঝাতে হান্নান দিল্লির কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। তাঁর মতে, আন্দোলন করলে যে ফল পাওয়া যায়, সেটা কৃষক আন্দোলন দেখিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নানা দাবিতে কৃষকদের সংগঠিত করতে প্রস্তুতি চলেছিল দশ বছর ধরে। প্রথমে কৃষকরা নিজেদের ঘরে ঘরে প্রতিবাদে সংগঠিত হন। পরে তা ছড়িয়ে দেন নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এবং তা প্রসারিত হয় পাড়ায় পাড়ায়। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের আকারে ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। এই আন্দোলনের কাছে কেন্দ্র নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়।’’ প্রবীণ ওই সিপিএম নেতার খেদ, ‘‘এ রাজ্যে বা জেলায় এই রকম আন্দোলনের মধ্যে আর সিপিএম নেই। তার বদলে যা হচ্ছে, তা হল কর্মসূচি। কিন্তু আন্দোলন আর কর্মসূচির মধ্যে ফারাক আছে। আন্দোলনের মধ্যে
না থাকলে মানুষ দলকে বিশ্বাস করবে না।’’
রাতেই দিল্লি ফিরে যান হান্নান। পরে ফোনে বলেন, ‘‘সম্মেলনে আমি যা বলার বলেছি। দল সেটা শুনবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি তো আর রাজ্যে থাকি না। তবে আন্দোলনের মধ্যে থাকলে যে সাফল্য আসে, তা কৃষক আন্দোলন প্রমাণ করেছে।’’
হান্নানের বক্তব্য প্রসঙ্গে সদ্য নির্বাচিত রাজ্য কৃষকসভার সভাপতি তথা দলের রাজ্য
কমিটির সদস্য বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘পলিটবুরোর প্রতিনিধি হিসেবে হান্নান সম্মেলনে হাজির ছিলেন। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের অভিজ্ঞতার নিরিখে তিনি কিছু কথা বলেছেন। এখানে তা কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে তা দলের রাজ্য কমিটি ঠিক করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy