পঞ্চায়েত অফিসের সামনে লাল আবির খেলায় মেতে ওঠেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সঙ্গে এলাকায় বিলি করা হল লাল বাতাসা। —নিজস্ব চিত্র।
একদা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীদের ‘গুড়-বাতাসা’ দাওয়াইয়ের নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)। এ বার সেই স্মৃতিই উস্কে দিল বামেরা। ১০ বছর পর হুগলির তারকেশ্বরের কেশবচক গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল করা এলাকায় বিলি করা হল ‘লাল বাতাসা’। দলের জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ‘লাল বাতাসা’ বীরভূমের ‘গুড়-বাতাসা’র প্রতিষেধক! পাল্টা আক্রমণ করেছে শাসকদলও।
সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়া বহু পঞ্চায়েতে বিরোধী শিবিরের জয়ী প্রার্থীদের দলে টেনে বোর্ড গঠনের চেষ্টার অভিযোগ রাজ্য জুড়েই উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কেশবচক পঞ্চায়েতেও বিরোধী প্রার্থীদের ‘প্রলোভন’, এমনকি ভয় দেখানোরও অভিযোগ তুলেছে বামেরা। শাসকদল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে বুধবার নির্বিঘ্নেই মিটল বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া।
কেশবচক পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৪। তার মধ্যে বামেরা পায় আটটি আসন আর তৃণমূল জেতে ছ’টি আসনে। নির্ধারিত সময়েই বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় সেখানে। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। সর্বসম্মতিক্রমে পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন তপতী কুন্ডু। উপপ্রধান হন বিশ্বনাথ সাঁতরা। এর পরেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে লাল আবির খেলায় মেতে ওঠেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সঙ্গে এলাকায় বিলি করা হল লাল বাতাসা।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য স্নেহাশিস রায়, ‘‘বীরভূমে সন্ত্রাস চালাতে গুড়-বাতাসা বিলি করা হত। এখানে আমরা মানুষকে কাছে টানতে লাল বাতাসা বিক্রি করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আজ নির্বিঘ্নেই বোর্ড গঠন হয়েছে। তবে বোর্ড গঠনের আগে নানা ভাবে জয়ী বামপ্রার্থীদের প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, ভয়ও দেখানো হয়েছে। সেই সব উপেক্ষা করেই মানুষের পঞ্চায়েত গড়ল বামেরা।’’ স্নেহাশিস জানান, ভবিষ্যতে স্বচ্ছ ভাবেই পঞ্চায়েতের কাজ করা হবে।
পাল্টা তারকেশ্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায় বলেন, ‘‘সংগঠনে কিছু ত্রুটি ছিল, তাই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। সেগুলো শুধরানোর চেষ্টা করা হবে। সরকারি এত প্রকল্প পেয়েও মানুষ কেন ভোট দিল না, সেটা দেখতে হবে। ২০২৪ সালে সবুজ বাতাসা বিলি হবে এবং সবুজ আবির উড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy