প্রতীকী ছবি।
দলের এরিয়া কমিটির সম্মেলনে হাজির হননি প্রতিনিধিদের একাংশ। অনুপস্থিতির কারণ জানতে সংশ্লিষ্ট স্তরের নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিপিএম। দলীয় সূত্রে খবর, বিষয়টি আলোচিত হয়েছে দলের জেলা সম্মেলনেও।
কেন্দ্রীয় জমায়েতে ভিড় হলেও সক্রিয় কর্মীর অভাবে স্থানীয় স্তরে এখনও দলীয় কর্মসূচিতে লোকজন তেমন জড়ো করতে পারছে না সিপিএম। দলের অভ্যন্তরে এ নিয়ে ‘চর্চাও’ হয়। এই প্রেক্ষিতে এরিয়া কমিটি স্তরের সম্মেলনে গরহাজির প্রতিনিধির সংখ্যা ‘উদ্বেগে’ রেখেছে দলীয় নেতৃত্বকে।
সম্মেলনে উপস্থিতির চিত্র কেমন ছিল?
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার এরিয়া কমিটির সম্মেলনে গড় উপস্থিতি ছিল ৭৬ শতাংশ। যার অর্থ, সম্মেলনে হাজির ছিলেন না প্রায় সিকি ভাগ প্রতিনিধি। হুগলিতে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সংখ্যা ৪২। এরিয়া সম্মেলনে উপস্থিতির হার সব থেকে কম (৬০ শতাংশের নীচে) গোঘাট-২ এরিয়া কমিটিতে। তেরোটি এরিয়া কমিটির সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন ৩০-৩৯ শতাংশ প্রতিনিধি। ১৫টি এরিয়া কমিটির সম্মেলনে অনুপস্থিতির হার ছিল ২০-২৯ শতাংশ। ১৪টি এরিয়া কমিটির সম্মেলনে ১০-১৯ শতাংশ প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। অনুপস্থিতির হার সব থেকে কম (১০ শতাংশের নীচে) মাত্র দু’টি এরিয়া কমিটিতে। এগুলি হল ধনেখালি
ও চুঁচুড়া।
সম্মেলনে হাজিরে ‘অনাগ্রহের’ কারণ বিশ্লেষণে আগ্রহী সিপিএম। এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘রাজনৈতিক হতাশা থেকে কেউ সম্মেলনে গরহাজির থাকলে হতাশা কাটাতে পদক্ষেপ করা হবে। সম্মেলনে সংগঠনের চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। নেতৃত্ব সম্পর্কে কোনও বক্তব্য থাকলে তা বলার সুযোগ থাকে। সে কারণে সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে থাকেন দলের সব সদস্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে হাজির না থাকা ভাল লক্ষণ নয়। তাই এর কারণ অনুসন্ধানও জরুরি।’’
আর এক সিপিএম জেলা নেতার কথায়, ‘‘অনেকেই অসুস্থতার কারণে হাজির হতে পারেননি। তবে যেখানে অনুপস্থিতির হার খুব বেশি, সেখানে বিষয়টি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যে সব এরিয়া কমিটির সম্মেলনে উপস্থিতির হার ৭০ শতাংশের নীচে, সেখানে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ বিষয়টি জায়গা পেয়েছে আরামবাগে অনুষ্ঠিত সিপিএমের জেলা সম্মেলনে হাজির প্রতিনিধিদের মধ্যে বিলি করা রাজনৈতিক সাংগঠনিক খসড়া প্রতিবেদনে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘এরিয়া কমিটিগুলির পার্টি সদস্যদের (সম্মেলনে) উপস্থিত করানোর জন্য উদ্যোগে কোথায় কোথায় দুর্বলতা ছিল, তা-ও খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন।’’ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে, ‘বেশ কিছু এরিয়া কমিটি এলাকায় নতুন প্রার্থীসভ্যদের একাংশ অনুপস্থিত ছিলেন। এটাতে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
গণসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সক্রিয়তা বিচার করে তাঁদের একাংশকে ‘প্রাথমিক সদস্যপদ’ দেয় সিপিএম। বেশ কিছু মাপকাঠি বিচার করে পরের ধাপে তাঁদের ‘প্রার্থীসভ্য’ করা হয়। সব শেষে মেলে ‘পূর্ণসদস্য’ পদ। প্রার্থীসভ্যদের মধ্যে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার উৎসাহ থাকে তুলনায় অনেক বেশি। সে দিক থেকে বিচার করলে, এরিয়া সম্মেলনে প্রার্থীসভ্যদের একাংশের অনুপস্থিতি ‘চিন্তায়’ রেখেছে সিপিএম জেলা নেতৃত্বকে। যদিও, এক জেলা সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘হুগলিতে প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া, তাঁদের উপযুক্ত সময়ে প্রার্থীসভ্য করা এবং পরে দলীয় সদস্যপদ দেওয়ার প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। বহু তরুণ-তরুণী দলের সদস্যপদ লাভ করেছেন। তাঁরাই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃ্ত্ব দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy