মাদ্রাসার বাইরে জয়ী প্রার্থীরা। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলকে হারিয়ে হুগলির বাঁশবেড়িয়ার ইসলামপাড়ার একটি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতি দখলে নিলেন বামপন্থীরা। ইদ মহম্মদ হাইমাদ্রাসা নামে ওই প্রতিষ্ঠানে রবিবার ভোট হয়। ৬টি আসনের প্রত্যেকটিতেই সিপিএম প্রার্থীরা জিতেছেন।
মাদ্রাসা সূত্রের খবর, মোট প্রার্থী ছিলেন ১৩ জন। সিপিএম ও তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। অন্য জন নির্দল। ১৩০৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৬৭৭ জন।
গত কয়েক বছর ওই মাদ্রাসার ক্ষমতা ছিল তৃণমূলের দখলে। কয়েক মাস আগেই পুরভোটে বাঁশবেড়িয়ায় বিপুল ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। তার পরে মাদ্রাসার এমন ফল নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বামপন্থীদের একাংশের বক্তব্য, এই ফল শাসক দলের শক্তিক্ষয় এবং বামেদের পক্ষে মানুষের আস্থার ইঙ্গিত।
এই জয় নিয়ে পুরুলিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘বামপন্থীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ে বিজেপি ও তৃণমূলকে হারাতে পারে। বামপন্থীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। আর তাতেই বিজেপি ও তৃণমূল কাছাকাছি আসছে। তবেই তো অমিত শাহ মমতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।” বাঁশবেড়িয়ার সিপিএম নেতা অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক চলছে না। চুরি-সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। মানুষ বুঝেছেন, পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার। এই জয় অভিভাবকদের শুভবুদ্ধির জয়।’’ বাম নেতাদের দাবি, রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি যে ভাবে সামনে এসেছে, পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রী থেকে আধিকারিকরা হাজতে গিয়েছেন, তাতে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের স্বরূপ বুঝেছেন।
এই ফল পঞ্চায়েত ভোটে প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায়র প্রতিক্রিয়া, ‘‘স্কুল বা মাদ্রাসা নির্বাচন রাজনীতির জায়গা নয়। তবে, হারের কারণ পর্যালোচনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy