প্রতীকী চিত্র।
নিজেদের হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালের তকমা দিতে রাজি নয় বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলি। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ দেখালে করোনা রোগীর চিকিৎসা করবেন তাঁরা। কিন্তু সরকারের বেঁধে দেওয়া টাকায় আর করোনার পরিষেবা দিতে রাজি নয় বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এর কারণ, গত বছরের টাকাই এখনও বকেয়া রয়ে গিয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির এই সিদ্ধান্তে কার্যত আতান্তরে পড়েছেন হাওড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা। একে জেলার অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই, তার উপরে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াতে থাকায় পর্যাপ্ত শয্যার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় কী ভাবে করোনার চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো বাড়ানো যায়, তা পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবারই জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাসকে ডেকে পাঠান রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, হাওড়ার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকারি খরচে কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো ও কী ভাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন করা যায়, সে সব নিয়েই কথা হয়েছে।
হাওড়া শহর এলাকায় করোনা আক্রান্ত সব থেকে বেশি হওয়ায় হাওড়া পুরসভা সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে খবর। হাওড়া পুরসভা জানিয়েছে, পুরসভার ১৫টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে দু’হাজার মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, শহরের যেখানে যেখানে একসঙ্গে অনেকে সংক্রমিত হচ্ছেন, সেই সব এলাকা চিহ্নিত করা হচ্ছে। ওয়ার্ড ধরে সেই কাজ করা শুরু হয়েছে। পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা টোটো নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে করোনা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার ফের শুরু করেছেন। একই সঙ্গে সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করবে হাওড়া সিটি পুলিশও। প্রতিদিন শহরে কত জন করে করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন, তার রিপোর্টও তৈরি করছে পুরসভা। গত বছরের মতোই করোনার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সংক্রমিতেরা কন্ট্রোল রুমে ফোন করে তাঁদের করণীয় কী, তা জানতে পারবেন। সেখান থেকেই করোনা চিকিৎসার পরার্মশও দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সেই কারণে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে। করোনা নিয়ে মানুষকে ফের সর্তক করতে হোর্ডিং, ভ্যানে প্রচার, স্যানিটাইজ়েশনে জোর দেওয়া হচ্ছে। হাওড়ায় করোনার ঊর্ধ্বমুখী লেখচিত্র নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।’’ হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘করোনা পরীক্ষা, রোগীদের অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া এবং চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy