অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে (চিহ্নিত) নিজস্ব চিত্র।
নির্মীয়মাণ একটি বস্ত্র বিপণীতে স্থানীয় ছেলেদের চাকরির দাবিতে দলবল নিয়ে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ডানকুনি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে’র বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। শো-রুমে তাঁর ফেসবুক লাইভ (আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিরোধীরা ময়দানে নেমেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে, গোটা ঘটনায় বিব্রত শাসক দল।
ডানকুনি শহরের লিচুবাগান এলাকায় টি এন মুখার্জি রোডের ধারে একটি নামি সংস্থা পোশাকের শো-রুম তৈরি করছে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় কাউন্সিলর সূর্য দলবল নিয়ে সেখানে যান। নিজের ফেসবুক পেজে সেখান থেকে লাইভ করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, শো-রুমের বাইরে থেকে সংস্থার ম্যানেজারের খোঁজ করতে করতে সূর্য ভিতরে ঢোকেন। সেখানকার কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলুন, আমার একটা দাবি আছে। আমার এলাকার চার জনকে কাজে নিতে হবে। কাজ না হলে এখানে আন্দোলন হবে’। সেই ছবি নিয়েই হইচই শুরু হয়েছে।
যদিও, এ নিয়ে ওই কাউন্সিলরের বক্তব্য, ‘‘এটা সাধারণ ব্যাপার। কাউকে হুঁশিয়ারি বা হুমকি দিতে যাইনি। আমার ওর্য়াডে অনেক শিক্ষিত বেকার ছেলে রয়েছেন। সংস্থার নিয়ম মেনেই আমার পরিচিত শিক্ষিত ছেলেদের কাজের জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলাম। ম্যানেজারকে গিয়ে সেটা বলি। আগে বার বার ওদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি। সাড়া না পেয়েই সরাসরি নিজে যাই।’’
ফেসবুক লাইভ করলেন কেন?
এক সময়ের ডানকুনি পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মী সূর্য বলেন, ‘‘ওই সংস্থা যাতে উল্টো প্রচার করতে না পারে যে আমি হুমকি দিয়েছি, সেই জন্যই ফেসবুকে আমার পেজ থেকে লাইভ করেছি।’’
বিরোধীরা অবশ্য বসে নেই। শহরের বিজেপি নেতা সুকান্ত মাঝির কটাক্ষ, ‘‘চাকরির নামে চাপ বাড়িয়ে কাটমানি আদায় আসল উদ্দেশ্য।’’ এলাকার সিপিএম নেতা মানিক সরকারের টিপ্পনি, ‘‘রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তোলাবাজি, চমকে-ধমকে টাকা আদায় করে ফুলেফেঁপে উঠেছেন। ডানকুনি কী ভাবে বাদ যায়!’’
সূর্যের ‘কাজে’ তৃণমূল নেতৃত্ব বিব্রত। দলের শ্রীরামপুর-হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কী ভাবে কর্মী নিয়োগ হবে, তা ওই সংস্থাই ঠিক করবে। তাদের কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দল এ সব বরদাস্ত করবে না। কোনও সংস্থাকে শুধু অনুরোধ করা যেতে পারে।’’ রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সম্পাদক দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘আমাদের দলে নিয়ম-রীতি আছে। যা খুশি করা যায় না। ওখানে আমাদের সংগঠনের নেতৃত্বের কাছে ঘটনাটি জানতে চেয়েছি।’’ ওই সংস্থার এক কর্মী বলেন, ‘‘কর্মী নিয়োগ কী ভাবে হবে, তা শুধু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই বলতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy