—প্রতীকী চিত্র।
শিশুদের জন্য সদ্য তৈরি হওয়া বিনোদন পার্ক চলে গিয়েছে দুষ্কৃতীদের কব্জায়। সেই পার্কে
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাদকাসক্তেরা। শুধু তা-ই নয়, ইদানীং শুরু হয়েছে, পার্কে আসা ভ্রমণার্থীদের কাছ থেকে জোর করে তোলাবাজি। টাকা না দিলেই জুটছে হুমকি। এমনই অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের পাশে
ডুমুরজলায় হাওড়া পুরসভার গড়ে তোলা ইকো পার্কে। কয়েক মাস আগে ওই পার্কের উদ্বোধনের পরে সেখানেই আয়োজন করা হয়েছিল হাওড়ার প্রথম বড়দিন কার্নিভালের। সাহিত্যিক নারায়ণ দেবনাথ ও ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের নামে গড়ে তোলা ওই পার্কে এই ধরনের দুষ্কৃতী-রাজের অভিযোগ ওঠায় চিন্তিত হাওড়া পুরসভার কর্তারাও।
হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বললেন, ‘‘প্রতিদিনই পাঁচিল ডিঙিয়ে পার্কের
ভিতরে ঢুকে কিছু দুষ্কৃতী সকাল থেকে নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম করছে। পার্কে আসা মানুষদের থেকে তোলা চাইছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় জগাছা থানায় জানিয়েছি। পুলিশকে বলেছি, ওই পার্কে একটি অস্থায়ী শিবির তৈরি করতে।’’ পুরসভার অভিযোগ, সকাল থেকেই পাঁচিল টপকে ওই পার্কের ভিতরে থাকা একটি ধর্মীয় স্থানে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতীরা। এর পরে সারা দিন ধরে চলে যথেচ্ছ মাদক সেবন। পুরসভার অভিযোগ, পার্কের বাইরে ওই দুষ্কৃতীরা বেআইনি ভাবে মোটরবাইক রেখে দিচ্ছে। পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাওড়া পুরসভার রক্ষীরা ওই যুবকদের বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এমনকি, খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাওড়া পুরসভার তরফে জগাছা ও চ্যাটার্জিহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানানো হয়েছে, পার্কের গ্রিল, জলের পাম্প, শৌচাগারের
নানা জিনিসপত্রও চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ওই দুষ্কৃতীরা। এলাকার লোকজন প্রথমে প্রতিবাদ করলেও তা কানে তোলেনি তারা। স্থানীয় বাসিন্দা রাঘব বসু বললেন, ‘‘এত বছর ধরে আমরা এইচআইটি আবাসনে আছি, কিন্তু এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। যারা ওই পার্কে ঢোকে, সকলেই বহিরাগত। যে কোনও দিন বড়সড় অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা হচ্ছে।’’
এ প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘পুরসভার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy