Advertisement
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Clay Mining From Damodar

ফের দামোদরের চরে কোপ

শ্যামপুরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর। ভবানীপুর খেয়াঘাটের একদিকে রয়েছে ভবানীপুর আর উল্টোদিকে শ্যামপুর।

ভোর বেলায় দামোদরের চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।

ভোর বেলায় দামোদরের চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

সুব্রত জানা
শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৪২
Share: Save:

সরকারি বিধি-নিষেধ আছে খাতায়-কলমে। কিন্তু নিয়ম কে মানে! নজরদারিই বা কোথায়? হাওড়ার শ্যামপুর থানা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালিচাতুরি পঞ্চায়েত এলাকায় দামোদর থেকে প্রকাশ্যে মাটি কাটার অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ইটভাটা-মালিকদের ইন্ধনেই দামোদর থেকে মেশিনের সাহায্যে মাটি কাটা চলছে।

শ্যামপুরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর। ভবানীপুর খেয়াঘাটের একদিকে রয়েছে ভবানীপুর আর উল্টোদিকে শ্যামপুর। সোমবার শ্যামপুরে গিয়ে দেখা গেল, ভোর থেকে দামোদর থেকে যন্ত্রের সাহায্যে মাটি কেটে ইটভাটা লাগোয়া অংশে ফেলা হচ্ছে। সাধারণত নদীতে ভাটার সময় এই কাজ হয়। পরে ওই অংশ থেকে মাটি তুলে ইট তৈরির কাজে লাগানো হয়। পরিবেশবিদদের দাবি, এ ভাবে নদীর পাড় বা চর থেকে সরাসরি মাটি কাটা বেআইনি। এতে নদী ভাঙনের আশঙ্কা বেড়ে যায়। ক্ষতি হয় চাষের জমিরও।

যদিও ইটভাটার মালিক মনীষা কড়ালের দাবি, ‘‘আমরা সরকারের থেকে মাটি কাটার অনুমতি নিয়েছি। সে জন্য নির্দিষ্ট রাজস্বও দিয়েছি সরকারকে।’’

এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ভূমি দফতরের আধিকারিক অরিন্দম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনে তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। আমি নিজেও ওই জায়গায় যাব তদন্ত করতে। মাটি কাটার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি ভাটা মালিকদের। যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

কিন্তু তা হলে এই বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি নেই কেন, প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। ভবানীপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে মাটিকাটা হচ্ছে। সকলেই জানেন। যে জায়গায় মাটিকাটা হচ্ছে, সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরে দামোদরের ওপর তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের সেতু। এ ভাবে মাটি কাটতে থাকলে, আগামী দিনে ওই সেতুর ক্ষতি হতে পারে। বিষয়টি প্রশাসনের কর্তাদের বহুবার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ আর এক বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘মাঝেমধ্যে লোকদেখানো মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কয়েক দিন তা বন্ধও থাকে। তারপর আবার যে কে সেই।’’

শ্যামপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃন্ময় মান্না বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনে ব্লক ভূমি দফতরের আধিকারিককে ফোনে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’’ হাওড়া জেলা সেচ দফতরের আধিকারিক সন্দীপ গুপ্ত বলেন, ‘‘মাটি কাটার অনুমতি ভূমি দফতর দেয়নি বলেই শুনলাম। সেক্ষেত্রে শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এতদিন এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা কেন?

তার অবশ্য জবাব মেলেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Shyampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

সরাসরি দেখুন বছরের বেস্ট সন্ধ্যা

বছরের বেস্ট ২০২৪

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy