আজাদ হিন্দ কলেজে হাতাহাতি। —নিজস্ব চিত্র।
পরিচালন সমিতির সভাপতি কে হবেন, তাই নিয়ে উত্তপ্ত হাওড়ার ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজ। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েক জন। মাথা ফাটল এক ছাত্রীরও। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে যায় ডোমজুড় থানার পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হল র্যাফ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজের বারো সদস্যের পরিচালন সমিতির বৈঠক ছিল শুক্রবার। ওই বৈঠকেই শুরু হয় অশান্তি। কলেজ পড়ুয়াদের একাংশ জানান, মাকড়দহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুফান ঘোষকে ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি করা হয়। তিনি জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক সীতানাথ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু তুফানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বেশ গুরুতর। এই অবস্থায় তুফানকে তাঁরা কিছুতেই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদে মেনে নিতে চাননি। প্রতিবাদে কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনে হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েক জন পড়ুয়া। শুক্রবার সকাল থেকেই গোটা কলেজ চত্বরে তুফানের বিরুদ্ধে পোস্টার ছড়ানো শুরু হয়েছিল। ওই পোস্টারে লেখা ছিল, কত টাকার বিনিময়ে স্থানীয় বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ তুফানকে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি করেছেন? এ ছাড়াও তুফানকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ পরিচালন সমিতির প্রথম বৈঠকে যোগ দিতে তুফান বহিরাগত কিছু ছাত্র নিয়ে কলেজে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ। তাতেই দু’দল ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। একদল পড়ুয়া টেবিল, চেয়ার এবং আসবাবপত্র ভাঙে। খবর পেয়ে কলেজে যায় পুলিশ। কিন্তু, পুলিশের সামনেই চলে ভাঙচুর, মারামারি এবং বিক্ষোভ। পরে আরও বাহিনী আনতে হয় পুলিশকে। বেশ খানিক ক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিক্ষোভের জেরে সভাপতি তুফান কলেজ থেকে বেরিয়ে যান। তাঁকে একদল ছাত্র তাড়া করেন। তখন তিনি দৌড়ে মাঠের দিকে পালিয়ে যান। এখানেই শেষ নয়। তার পরে কলেজপড়ুয়ারা হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এ নিয়ে তুফান বলেন, ‘‘তৃণমূলের জগৎবল্লভপুর ব্লকের সভাপতি সুবীর চট্টোপাধ্যায়ের মদতে আমার উপর আক্রমণ করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, সুবীরের দাবি, ‘‘স্বার্থরক্ষায় রাজনীতি করার বয়স নেই আমার। আমি এ সবের মধ্যে নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে শামিল হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy