— প্রতীকী ছবি।
এয়ারগান নিয়ে খেলা করার সময় আচমকাই ট্রিগারে হাত পড়ে যায় পাঁচ বছরের শিশু জ়ুমানা হায়াতের। বন্দুক থেকে ছররা গুলি সরাসরি গিয়ে লাগে শিশুটির বুকে। সঙ্গে সঙ্গে নাক, মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোতে শুরু করে। জ্ঞান হারায় শিশু জ়ুমানা। চুঁচুড়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হুগলির পাণ্ডুয়ার দে পাড়ার বাসিন্দা জামশেদ আলি। স্থানীয় থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করেন জামশেদ। তাঁরই মেয়ে জ়ুমানা। শনিবার বিকেলে পাশেই মামার বাড়িতে গিয়েছিল সে। মামা সাইফার রহমানের একটি পাখি মারার এয়ারগান আছে। জ়ুমানা সেই এয়ারগানটি নিয়ে খেলা করছিল। আচমকাই এয়ারগানের ট্রিগারে চাপ দিয়ে ফেলে সে। এয়ারগান থেকে ছররা গুলি বেরিয়ে সোজা গিয়ে বিঁধে যায় জ়ুমানার বুকে। নাক, মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ে শিশুটি। তা দেখে বাড়ির লোকেরা তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যান পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা জ়ুমানাকে দ্রুত বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা দৌড়ন চুঁচুড়া ইমামবড়া হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় জ়ুমানার।
শিশুর জেঠিমা রেশমা সুলতানা বলেন, ‘‘শিশুটি খুব চঞ্চল। সবে মামার বাড়ি গিয়েছে আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা। মামার পাখিমারা বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে বুকে লাগে। আমরা গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’
পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে শিশুটি খেলা করছিল। তখন কোনও ভাবে এয়ারগানের ট্রিগারে চাপ পরে গুলি ছিটকে লাগে। হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘এয়ারগান নিয়ে শিশুটি খেলা করছিল। তখন কোনও ভাবে ট্রিগারে চাপ পড়ে গুলি ছুটে সে আহত হয়। পাণ্ডুয়া হাসপাতাল থেকে চুঁচুড়া নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। আমরা খতিয়ে দেখছি ঘটনাটি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy