দুই তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতিতে উত্তপ্ত ডোমজুড়। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ায়। অভিযোগ, জেলার দুই বিধায়কের অনুগামীদের মধ্যে বচসা এবং পর্যায়ক্রমে হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয় ডোমজুড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফও। যদিও শাসকদলের পক্ষ থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত, কয়েক দিন আগে ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের এক ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যক্তির করা সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট থেকে। ওই ফেসবুক পোস্টের সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যদিও যাচাই করেনি। ফেসবুক পোস্টটিতে অভিযোগ আকারে লেখা হয়, জগৎবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আইপ্যাক কর্মীদের তথ্য সংগ্রহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার পাল্টা কল্যাণের বিরুদ্ধেও একটি পোস্ট পড়ে ফেসবুকে। দাবি, যিনি ওই পোস্টটি করেছেন, তিনি জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক সীতানাথ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’। সেই ফেসবুক পোস্টটির সত্যতাও আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। পোস্টটিতে নাম না করে হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণকে ‘তোলাবাজ’ বলে কটাক্ষ করা হয়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সমাজমাধ্যমে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিলই। এর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কল্যাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ব্যক্তিকে ডোমজুড় থানায় ডেকে আনা হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। অভিযোগ, ‘বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ’ ব্যক্তিকে থানায় ডেকে আনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর অনুগামীরা। সেখানেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। পরস্পরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা যায় দু’পক্ষকে। পরে দুই শিবিরকে থানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
দুই বিধায়ক অবশ্যই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে কল্যাণ বলেন, ‘‘আমি এলাকায় নেই। বাইরে আছি। খোঁজ নিয়ে দেখব কী হয়েছে।’’ অন্য দিকে, সীতানাথ বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোথাও কিছুই ঘটেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy