টোলকর্মীদের সঙ্গে বচসা। নিজস্ব চিত্র।
ফাসট্যাগকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধল ডানকুনির টোলপ্লাজায়। কীসের জন্য ফাসট্যাগ গাড়িচালককে তা বোঝাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল টোলকর্মীদের। বচসাও বেধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে। সোমবার থেকে দেশ জুড়ে ফাসট্যাগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফাসট্যাগ না থাকলে দ্বিগুণ টোল দিতে হবে। এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকা মেনে দেশের সব জাতীয় সড়কের টোলপ্লাজায় এ দিন থেকে বাধ্যতামূলক হয়েছে ফাসট্যাগ। ডানকুনি টোলপ্লাজাতেও ফাসট্যাগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। টোলকর্মীদের দাবি, এক গাড়িচালকের ফাসট্যাগ না থাকায় তাঁকে সেটা লাগিয়ে নিতে অনুরোধ করা হয়। অভিযোগ, ওই গাড়িচালক ফাসট্যাগ লাগাতে অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, কেন ফাসট্যাগ লাগাবেন তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয় টোলকর্মীদের কাছে। এর পরই দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বচসা শুরু হয়। টোলকর্মীদের দাবি, যখন বাদানুবাদ চলছিল, সেই সময় ওই গাড়িতে থাকা যাত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে বলতে থাকেন, ‘এখানে দিদি চলবে, মোদী চলবে না’।
গত বছর মে থেকে ফাসট্যাগ ব্যবস্থা চালু হলেও এখনও ৫০-৬০ শতাংশ গাড়ির ফাসট্যাগ নেই বলে দাবি করেন ডানকুনি টোলপ্লাজার আধিকারিক নিখিল যাদব। তিনি বলেন, “আজ থেকে কোনও নদগ টাকা নেওয়া হবে না টোলে। যাঁদের ফাসট্যাগ নেই তাদের করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকের জানাই নেই ফাসট্যাগ কী। যাঁদের নেই তাঁদের দ্বিগুন টাকা গুনতে হবে।”
ডানকুনি টোলপ্লাজায় তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “তুঘলকি ব্যবস্থা চলছে। পেট্রলের দাম একশো ছুঁয়েছে। ডিজেলও ছুটছে। আর কেন্দ্র সরকার বলছে ফাসট্যাগ বাধ্যতামূলক করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “গাড়িতে ফাসট্যাগ লাগালে অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে টোলপ্লাজাগুলোয় কর্মীরা কাজ হারাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy