চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। —নিজস্ব চিত্র।
সেরার তালিকায় আগেই জায়গা করে নিয়েছিল এ রাজ্যের এক থানা। এ বার জাতীয় পুরস্কার পেল চন্দননগর পুলিশ। থানায় কত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয়েছে, তা ডিজিটাল মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাতটি থানায়। সফল ভাবে এই কাজ করার জন্য ই-গভর্ন্যান্সে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে চন্দননগর পুলিশ। ‘প্রযুক্তিগত সমাধানের প্রতিলিপি’ বিভাগে এই পুরস্কার পেয়েছে। ৩ এবং ৪ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে ই-গভর্ন্যান্সের ২৭তম জাতীয় সম্মেলনে হয়। সেখানেই এই পুরস্কার পায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।
প্রায় দিনই কোনও না কোনও মামলায় কিছু না কিছু বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র থেকে দামি জিনিসপত্র, মাদকও উদ্ধার করে মালখানায় রেখে দেওয়া হয়। মামলার প্রয়োজনে অনেক সময় আদালতে সেগুলো পেশ করতে হয়। সে কারণে, বাজেয়াপ্ত জিনিস হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে পুলিশকে জবাবদিহি করতে হয়। অতীতে পুলিশ যে সব জিনিস বাজেয়াপ্ত করত, তা মালখানায় পড়ে নষ্ট হত। অনেক সময়ই খোঁজ মিলত না। বারকোড প্রযুক্তির ফলে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। যে কোনও বাজেয়াপ্ত জিনিস ভাল করে প্যাকিং করে তার উপর বারকোড লাগানো হয়। পরবর্তী সময়ে কেস নম্বর দিয়ে বার কোড স্ক্যান করলে, ওই মামলায় কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা কোথায় রয়েছে, সহজেই জানা যাবে। এই ব্যবস্থা গোটা দেশের মধ্যে সব থেকে ভাল ভাবে প্রয়োগ করেছে চন্দননগর পুলিশ। তাই তারা প্রথম পুরস্কার পেয়েছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, দু’জন পুলিশ অফিসার এই ‘জিজিটালাইজড মালখানা’ তৈরিতে করতে সাহায্য করেছেন। গত ফেরুয়ারিতে দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের একটি দল এসে বিষয়টি তদারকি করে যায়। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শুভতোষ বিশ্বাস চন্দননগরে পুলিশের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। গত বছর দেশের সেরা তিনটি থানার মধ্যে একটি হয়েছিল শ্রীরামপুর থানা। এ বার এল ই-গভর্ন্যান্সে স্বর্ণপদক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy