পুরশুড়ার সুঁদরুশে ও চিলাডাঙিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ।
ভোট এলেই হিংসা-হানাহানি দেখতে অভ্যস্ত আরামবাগ। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটান। এ বার ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগে রবিবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করল মহকুমার রাজনৈতিক ভাবে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে। এতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
ক’দিন আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পুরশুড়ার সুঁদরুশ এলাকায়। এ দিন ওই জায়গা একং সংলগ্ন চিলাডাঙি পঞ্চায়েত এলাকায় এক কোম্পানি (১২ জন) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রুটমার্চ করলেন পুরশুড়ার ওসি। গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল-বিজেপির বোমাবাজিতে উত্তাল খানাকুলের বালিপুরেও রুটমার্চ হল। আরামবাগের কালীপুর, গোঘাটের বকুলতলা, খানাটি, নবাসন ও আকতপুরেও রুটমার্চ হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রাজনৈতিক গোলমালের প্রথম কোপটি পড়ে স্থানীয় বাজার-হাটে। নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সৌজন্যে এ বার তা নিয়ন্ত্রণ হবে বলে মনে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় থাকলে নিরাপদে ভোট দেওয়া যাবে এবং হানাহানি বন্ধ থাকবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
তবে, এই রুটমার্চকে এখনই গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম। দলের আরামবাগ এরিয়া কমিটির সম্পাদক পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই রুটমার্চ নিয়ে আহ্লাদের কিছু হয়নি আমাদের। ভোটের দিনে তাদের কী ভূমিকা থাকে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের দাবি, মানুষ যেন তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হোক।” বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের বক্তব্য, “ভোটে সন্ত্রাস করতে জায়গায় জায়গায় তৃণমূল বোমা বাঁধা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি জরুরি ছিল। তা শুরু হয়েছে।”
আরামবাগ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পলাশ রায়ের পাল্টা অভিযোগ, “কোথাও কোন সন্ত্রাস নেই। বিরোধীরা মিথ্যা এবং পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসের কথা বলে এলাকা অশান্ত করতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনকে তাতাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy