গোঘাটের শ্রীপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
আগে ছিল সপ্তাহে তিন দিন ডিম। তাও অধিকাংশ সময় পাতে পড়ত অর্ধেক। করোনা-পর্বে দু’বছর বন্ধের পরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলতে সপ্তাহে ৬ দিনই শিশুর পাতে গোটা ডিম থাকছে। আরামবাগের রঘুনাথপুরের রানু কাঁড়ি, গোঘাটের কামারপুকুর আদিবাসীপাড়ার টুম্পা কোটালদের মতো শিশুর মায়েরা এতে খুশি। তাঁরা চান, এমনটাই চলুক।
নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রের খবর, হুগলিতে মোট ৬,৭০৮টি আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু, প্রসূতি এবং অন্তঃসত্ত্বা মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ উপভোক্তাকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। ব্লক স্তরে সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তিন দিন ভাত, সব্জি গোটা ডিম সেদ্ধ দেওয়া হচ্ছে। বাকি তিন দিন থাকছে খিচুড়ি, সব্জি এবং গোটা ডিম সেদ্ধ। তবে সকালের টিফিন ছাতু, চিনি এবং কলা এখনও দেওয়া শুরু হয়নি। শিশুদের জন্য মাথাপিছু ৮ টাকা এবং প্রসূতি ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য সাড়ে ৯ টাকা বরাদ্দ।
সকালের টিফিন চালু না হওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে অনুযোগ আছে। নিজের তিন বছরের ছেলে মনসা অপুষ্টিতে ভুগছে জানিয়ে গোঘাটের মুকুন্দপুর আদিবাসীপাড়ার লতা হাঁসদা বলেন, “প্রতি দিন গোটা ডিমের ব্যবস্থা খুব ভাল হয়েছে। কিন্তু কলা-ছাতুটাও খুব দরকার।” একই বক্তব্য গোঘাটের কামারপুকুরের আড়াই বছরের কৃষ্ণ কোটালের মা টুম্পা, আরামবাগের রঘুনাথপুরের তনুশ্রী বাগ প্রমুখ। রান্না চালু হওয়ার আগে উপভোক্তাদের যে শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, তা গত চার মাসের বকেয়া আছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন উপভোক্তা পরিবারের লোকেদের। সিডিপিওরা তা স্বীকার করেছেন।
জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি বলেন, “জেলার সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু হয়েছে। পরিষেবার কোনও ঘাটতি থাকবে না। সকালের ছাতু, চিনি, কলা দেওয়াও শুরু হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy