ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ বিজেপি সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মারধরের উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনীতির প্রসঙ্গ নেই। অথচ, শুক্রবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই রাজনীতির রং চড়ল।
এ দিন বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যান্ডেল ফাঁড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। পুলিশও দড়ি বেঁধে ফাঁড়ির একটি গেট বন্ধ করে দেয়। সকাল ১১টা থেকে বিজেপির লোকজন জড়ো হয়। তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয় তারা।
সাড়ে ১১টা নাগাদ আসেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক সুবীর নাগ। জখম কৃষ্ণা কাহারের পরিবারের লোকজনও ছিলেন।
দুই অভিযুক্ত গঙ্গা মোহালি ও পিন্টু সিংহের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। কৃষ্ণার ভাই শিবার দাবি, তাঁরা বিজেপি করেন বলেই তৃণমূলের গঙ্গা ও পিন্টু তাঁর দাদাকে মারধর করেছে।
লকেট বলেন, ‘‘এলাকায় বিজেপি করতে দেবে না তৃণমূল। তাই তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের কর্মীদের মারধর করছে।’’ গঙ্গা ও পিন্টুকে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
সন্ধ্যায় ব্যান্ডেল ফাঁড়িতে আসেন অসিত। পরে বলেন, ‘‘লকেট যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁরা একটা সময়ে ওদের (বিজেপি) সঙ্গেই ছিল। মস্তানি করত। সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। মারধরের ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ব্যান্ডেল অন্নপূর্ণা বাজারের বাসিন্দা কৃষ্ণা ওরফে কালু বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে বিগত তিন বছর শ্রীঘরে ছিল। সেই সময় কৃষ্ণার স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে প্রতিবেশী গঙ্গার সঙ্গে থাকতে শুরু করে। মাস দু'য়েক আগে কৃষ্ণা জেল থেকে বের হওয়ার পর গঙ্গাকে ছেড়ে দিয়ে ওই মহিলা ফের কৃষ্ণার সঙ্গে থাকতে শুরু করে। গত ২৬ তারিখ এই নিয়েই কৃষ্ণার সঙ্গে গঙ্গা মারামারিতে জড়ায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy