Advertisement
E-Paper

Bhai Dooj 2021: চিত্রগুপ্তের পর ফোঁটা পান বাতানলের ছেলেরা

কায়স্থপাড়ার বর্তমান প্রজন্মের ধারণা, সারা বছরের পাপ-পুণ্যের খতিয়ান নিয়ে চিত্রগুপ্তকে সন্তুষ্ট রাখতেই এই পুজোর প্রচলন হয়েছিল।

আরাধনা: বাতানলের কায়স্থপাড়ায় পুজো।

আরাধনা: বাতানলের কায়স্থপাড়ায় পুজো। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৮:০০
Share
Save

এই এলাকায় আগে ফোঁটা দেওয়া হয় চিত্রগুপ্ত মূর্তির কপালে। তারপর ফোঁটা পান এলাকার সব ছেলেরা। আরামবাগের বাতানল কায়স্থপাড়ার চিত্রগুপ্ত পুজো এ বছর ১১৩ বছরে পা দিল। শনিবার, ভাইফোঁটার দিন সমারোহ করেই আয়োজন হয়েছিল পাপ-পুণ্যের হিসাবরক্ষকের পুজোর। গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বাতানলেই এই পুজোর আয়োজন করা হয় বলে দাবি পুজো কমিটির কর্তাদের।

কায়স্থপাড়ার বর্তমান প্রজন্মের ধারণা, সারা বছরের পাপ-পুণ্যের খতিয়ান নিয়ে চিত্রগুপ্তকে সন্তুষ্ট রাখতেই এই পুজোর প্রচলন হয়েছিল। অন্য দিকে কায়স্থদের আদি পিতাও তিনি।

পুজো কমিটির সম্পাদক শিলাদিত্য দেব সরকার জানান, এই মূর্তির চার হাত। এক হাতে গদা। আর এক হাতে তরোয়াল। বাকি দুটি হাতের একটিতে দোয়াত, অন্যটিতে কলম। মূর্তির রং সবুজ আর বাহন মোষ। চিত্রগুপ্ত নিজে পদ্মাসনে সিংহাসনে আসীন। চিত্রগুপ্তের মূর্তি কেমন তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় বংশপম্পরায় কৃষ্ণ বা কার্তিকের আদলে মূর্তি গড়া হয়ে থাকে। আর পুজোও হয় নারায়ণ মন্ত্রেই।

পুজো কমিটির কর্তারা জানান, ১৯০৮ সালে বাতানলে চিত্রগুপ্ত পুজো শুরু হয়। একই সময়ে কলকাতার রাধানাথ মল্লিক লেনেও চিত্রগুপ্ত পুজো শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই পুজো ৬০ বছর চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয় ১৯টি পরিবার মিলে পুজোটা বজায় রাখা হয়েছে। এই সময় কর্মসূত্রে বাইরে থাকা বাসিন্দারা বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে আসেন আত্মীয়-স্বজনও। আলোয় সেজে ওঠে পুরো পাড়া।

Bhai dooj

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}