আনিস খানের রহস্য-মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ দানা বাঁধছে হাওড়ার আমতায়।
আনিস খানের রহস্য-মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ দানা বাঁধছে হাওড়ার আমতায়। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসছে সারদা গ্রামের খাঁ পাড়া। শুক্রবার মধ্যরাতে আনিসের মৃত্যুর পর রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানালেন, ওই রাতে আনিসের বাড়িতে কারা গিয়েছিলেন, তা তদন্তসাপেক্ষ। তিনি এ-ও জানান, সম্প্রতি আনিসের বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
শুক্রবার রাতে পুলিশের পোশাকে এবং ‘সিভিক ভলান্টিয়ার’ বেশে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা সত্যিই পুলিশ প্রশাসনের লোক ছিল কি না, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। যদিও ঘটনার পর স্থানীয় আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী জানান, ওই রাতে আনিসের গ্রামে কোনও অভিযান চালানো হয়নি। রবিবার বিকেলে অবশ্য সুপার বলেন, ‘‘ওই রাতে কারা আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল, তা তদন্ত-সাপেক্ষ।’’
পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, আনিসের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত থেকে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সমনও জারি হয়। রবিবার তা স্বীকার করে নিয়েছেন সুপার। তিনি বলেন, ‘‘আনিসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। তবে এর মধ্যে ওঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।’’
অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তদন্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানালেন সৌম্য। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তই হবে, এমন আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘খবর পেয়েই ভোর ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। তদন্তের জন্য যা যা করার পুলিশ তাই করবে। তদন্ত নিরপেক্ষই হবে।’’
রবিবার সকালে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বিক্ষোভের জেরে এলাকা ছাড়তে হয় পুলিশকে। শুক্রবার মধ্যরাতে ওই ঘটনার পর এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়েরা। তার পরেই রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সৌম্যকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy