নিজস্ব চিত্র।
আনন্দবাজার অনলাইনে নভেম্বর ২০২১-এর ‘অ-সাধারণ’-এর মুকুট তাঁরই মাথায় গিয়েছিল। আনন্দবাজার অনলাইনের চোখে বছরের সেরা একাদশেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। পেয়েছিলেন ‘বছরের বেস্ট’ পুরস্কার। সেই সুকুমার উপাধ্যায় এ বার হলেন জাতীয় লোক আদালতের বিচারক।
সুকুমার পেশায় পুলিশ কর্মী। আসামি নিয়ে প্রায়ই তাঁকে আদালতে যেতে হয়। এজলাসের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখেন শুনানি। কিন্তু নিজেই বিচারকের চেয়ারে বসে মামলার নিষ্পত্তি করবেন, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি সুকুমার।
শনিবারও চুঁচুড়া আদালতে জাতীয় লোক আদালত বসেছিল। নিষ্পত্তি হয়নি, এমন মামলাই দুই পক্ষের সম্মতিতে নিষ্পত্তি করা হয় এই লোক আদালতে। এই আদালতে বিচারকদের চেয়ারে বসে এক জন বিচারক, এক জন আইনজীবী আর এক জন সমাজসেবী। সমাজসেবী হিসাবে ওই আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করলেন সুকুমার। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য লিগ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ঠিক করেন, এই আদালতে বিচারক কে হবেন। বিচারকের পদে বসা এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা।’’
প্রসঙ্গত, পুলিশ কর্মী হওয়ার পাশাপাশি সুকুমার এক জন সমাজকর্মীও। মাইনের টাকায় ভর করে সমাজের, আশপাশের মানুষের ভাল করার তাগিদ সর্ব ক্ষণ তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। কখনও ঘর হারানোকে ঘরে ফেরান, কখনও বা বার্ধক্যভাতা তছরুপ করা পোস্টমাস্টারকে ধরিয়ে দেন। পেশার নির্দেশে নয়। স্রেফ মনের টানে। সেই কারণেই তাঁকে ‘বছরের বেস্ট’ পুরস্কার দিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy