Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
TMC

মারধর, ভাঙচুরে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী

উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষাল এবং প্রহৃত কর্মী তাপস দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী মালিকের স্বামী বাপন মালিককে আটক করেছে পুলিশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
গোঘাট শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ০৪:৩৫
Share: Save:

পঞ্চায়েতে চড়াও হয়ে এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে মারধর, ল্যাপটপ ভাঙচুর এবং নথিপত্র নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। উপপ্রধানকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরে গোঘাট-২ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বদনগঞ্জ-ফলুই ১ পঞ্চায়েতের ঘটনা। উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষাল এবং প্রহৃত কর্মী তাপস দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী মালিকের স্বামী বাপন মালিককে আটক করেছে পুলিশ।

প্রহৃত চুক্তিভিত্তিক পঞ্চায়েত কর্মী (ডেটা এন্ট্রি অপারেটর) তাপস দাসের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতে কাজকর্ম করছিলাম। আচমকা দুপুর আড়াইটা নাগাদ প্রধানের স্বামী এসে মারধর করলেন। উপপ্রধান-সহ সদস্যরা আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করে ল্যাপটপ ভাঙা হল। আর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে পালালেন বাপন। থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।” উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষালেরও অভিযোগ, “প্রধান এবং তাঁর স্বামী নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন।’’

বাপন মালিকের দাবি, “উপপ্রধানের দুর্নীতি চক্র নিয়ে আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করাতেই এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে। উপপ্রধানের দুর্নীতিতে মূল সহায়তাকারী ডেটা এন্ট্রি অপারেটর তাপস। নানা প্রকল্পে ভুয়ো উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করে সরকারি টাকা নয়ছয় করার প্রতিবাদ করাতেই এই যড়যন্ত্র।” পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী মালিক বলেন, “উপপ্রধানের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় সপ্তাহ খানেক আগে আমার বিরুদ্ধে অন্য সদস্যদের জোর করে সই করিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। সেই চিঠি নিয়ে এখনও আইনগত কোনও পদক্ষেপ নেননি বিডিও। তার মধ্যেই আবার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সমস্ত বিষয়টা দলের উপর নেতৃত্বকে জানানো হবে।”

বদনগঞ্জ-ফলুই ১ পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান লক্ষ্মী মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে গত ২৪ মে অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিডিওর কাছে চিঠি পাঠানো হয়। উপপ্রধান-সহ দলের মোট ১০ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জনই তাতে স্বাক্ষর করেন। ওই অনাস্থা নিয়ে গোঘাট ২ ব্লকের বিডিও অভিজিৎ হালদার বলেন, “পঞ্চায়েত আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে”।

সমস্ত বিষয়টা নিয়ে গোঘাট-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তপন মণ্ডল বলেন, “বিষয়টা দলের উপর নেতৃত্বকে জানিয়েছি। করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হলে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC inner conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy