—প্রতীকী চিত্র।
নিজের বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় অ্যাসিড হামলায় জখম হলেন হুগলির পোলবা-দাদপুর ব্লকের একটি পঞ্চায়েতের মহিলা তৃণমূল সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার ভোরে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অ্যাসিডের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে। কেন হামলা, তা-ও তদন্ত করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আক্রান্তের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা দুই নাতনি ও স্বামীকে নিয়ে টালির চালের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। গরমের জন্য জানলার উপরের পাল্লা খোলা ছিল। মশারি টাঙানো ছিল না। অভিযোগ, রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ কেউ অ্যাসিডের বোতল জানলা দিয়ে ছুড়ে মারে। তাতে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের কানের নীচ থেকে ঘাড়, বুক ও পিঠের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। মহিলার পাশে শুয়ে থাকা এক নাতনির হাতেও সামান্য অ্যাসিড লাগে। তবে ওই বালিকার ক্ষত গুরুতর নয়।
বৃহস্পতিবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে যন্ত্রণায় কথা বলতে পারছেন না জানিয়ে স্বামীকে ফোন ধরিয়ে দেন ওই সদস্য। তিনি বলেন, ‘‘কাউকে দেখতে পাইনি। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ একাধিক বার তদন্তে এসেছে। নমুনাস্বরূপ অ্যাসিডের বোতল, পুড়ে যাওয়া বিছানার চাদর নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাউকে ধরতে পারেনি।’’ তিনি জানান, বোতলের গায়ে কার্বোলিক অ্যাসিড লেখা ছিল। যে কেউ কী ভাবে সহজে অ্যাসিড সংগ্রহ করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কেন হামলা?
এই প্রশ্নে মহিলার স্বামীর বক্তব্য, ‘‘কাউকে দেখিনি। ফলে এটা বলতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’ এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ‘‘কাউকে দেখা যায়নি। কে বা কারা জড়িত, পুলিশ দেখছে। দোষীরা কঠোর শাস্তি পাবে।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ওই পরিবারের পাশে আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy