নিশিকুটম্ব বা সিঁধেল চোর নয়, ভাব জমিয়ে বাইক চুরি করা তাঁর পেশা এবং নেশা। এখনও পর্যন্ত শতাধিক বাইক চুরির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। হুগলি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান— হুগলির বাসুদেব মণ্ডল ওরফে বালুসা ওরফে রাজকুমারের সর্বত্রই অবাধ গতিবিধি। অচেনা এবং অজানা লোকের সঙ্গে নানা অছিলায় ভাব জমিয়ে তাঁদের বাইক নিয়ে কেটে পড়া তাঁর ‘কাজ’। অভিযোগ, থানা-পুলিশ, গ্রেফতার, সবই হয়েছে। পুলিশের হাতে এসেও ফস্কে গিয়েছিলেন রাজকুমার। এমন জিনিস বার কয়েক হয়েছে। এ জন্য অনেকেই হুগলির রাজকুমারের সঙ্গে হিন্দি সিনেমা ‘ধুম’-এর কবীরের তুলনা টানেন। সেই রাজকুমারকে আবার হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। আর তাঁকে হেফাজতে পেতেই একের পর এক চুরি যাওয়া একের পর এক বাইক উদ্ধার হচ্ছেয়
পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরে রাজকুমারকে খুঁজছিল তারা। চুরির অভিযোগও বাড়ছিল। কিন্তু চোরের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় বাইক চুরির যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বেশিরভাগেই অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছেন রাজকুমার। এর আগে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হুগলির বলাগড়ের এক্তারপুরের ওই বাসিন্দকে অবশেষে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে। চলতি বছরের ১০ মার্চ হুগলির শেওড়াফুলি স্টেশনে একটি মারামারির ঘটনায় জিআরপি রাজকুমারকে আটক করেছিল। তাঁর ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হলে প্রথমে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পুলিশ রাজকুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়। এখন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে চোরাই বাইক উদ্ধার করল বলাগড় থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিন্হা মহাপাত্র বলেন, ‘‘বলাগড় থানাতেও রাজকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাই গত ১৭ তারিখ তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ছ’টি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে চুঁচুড়া আদালতে পাঠিয়ে হেফাজতের মেয়াদ বাড়াবে বলাগড় থানার পুলিশ।’’