মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদ এলাকায় বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম জিয়াউল শেখ। তাঁকে চোপড়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, খুনের ঘটনায় তিনি-ই ‘মূল চক্রী’।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি শমসেরগঞ্জ থানার সুলিতলা এলাকায়। তবে খুনের ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার তাঁকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। বাবা-ছেলের খুনের ঘটনায় এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। জানা যাচ্ছে, জোড়া খুনে ধৃত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিয়াউলের নাম জানতে পুলিশ পারে। ঘটনাক্রমে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জিয়াউলকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাঁকে জঙ্গিপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদে অশান্তি শুরু হয়েছিল দিন কয়েক আগে। ওই আবহে খুন হন বাবা-ছেলে।
আরও পড়ুন:
এর আগে ইনজামাম হক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এই ইনজামামের পিতা-পুত্রের প্রতি আক্রোশ ছিল বলে পুলিশের তদন্তে দাবি। জানা গিয়েছে, নিহতদের বাড়ির সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করা নিয়ে বিবাদ দেখা দিয়েছিল দু’পক্ষের মধ্যে। নিছক ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা তদন্তসাপেক্ষ। অন্য দিকে, দাস পরিবারের বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ওই টাকা তাঁরা নেবেন না বলে জানিয়েছেন দাস পরিবারের সদস্যেরা। গত ১৬ এপ্রিল বাবা-ছেলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। কিন্তু শ্রাদ্ধের জন্যে পুরোহিত এবং ক্ষৌরকার পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ দাস পরিবারের। তাদের দাবি, অশান্তির ভয়ে এবং আতঙ্কে কেউ আসেননি। তাই পুরোহিত ছাড়াই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয়।