ঘটনাস্থলে পুলিশের কর্তারা। নিহত লালবাবু গোয়ালা (ইনসেটে)। নিজস্ব চিত্র।
বুধবার ভরসন্ধ্যায় ব্যান্ডেলের নিউ কাজিরাঙায় প্রৌঢ় লালবাবু গোয়ালা খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। লালবাবুর একাধিক বিয়ের ফলে পারিবারিক অশান্তি, জমি কেনাবেচা নিয়ে শত্রুতা আর অতীতের অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে পুরনো শত্রুতা— আপাতত এই তিনটি কারণ নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন তদন্তকারীরা।
নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে, পেশায় টোটোচালক সাহেবের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু
করেছে পুলিশ। লালবাবুর এক ভাইপোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘লালবাবুর একাধিক বিয়ে। জমিজমা সংক্রান্ত কারবারও করতেন। তবে, কী কারণে খুন,
এখনও স্পষ্ট নয়। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার কর্মী লালবাবুর জীবনযাপন নিয়ে এলাকায় চর্চা ছিল। ভাল বেতন পেলেও চাহিদা মেটাতে জমির ব্যবসাও করতেন। নথিগত, শরিকি বা দখলদারি সংক্রান্ত সমস্যা থাকা জমির সমস্যা মিটিয়ে কেনাবেচা পছন্দ করতেন লালবাবু। কেননা, তাতে মুনাফা বেশি। সম্প্রতি অন্যের দখলে থাকা একটি জমি কেনাবেচা নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারীদের তোলার ব্যাপারও রয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরে তাঁর এক স্ত্রী বিহারে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। লালবাবুর ভাই ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে স্ত্রী নীলুর বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে। আটক যুবক তাঁদেরই ছেলে। ধর্মেন্দ্র হাওড়ায় থাকেন। নীলু ছেলেকে নিয়ে নিউ কাজিরাঙায় বাপের বাড়িতে থাকেন। নীলুর দাবি, ঘটনার সময় আদিত্য ঘরেই ছিলেন। বাড়িতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কাজ করছিলেন। পরে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘লালবাবুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। উনি ভাল মানুষ ছিলেন না। চারটে বিয়ে করেছেন বলে জানি। অসামাজিক কাজের অভিযোগে জেলও খেটেছেন। পুলিশ আমার ছেলেকে কেন নিয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।’’
সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় গুলিতে খুন হয় মিলন সিংহ ওরফে ভাগ্না নামে এক যুবক। সে এক সময় চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে থাকত। একদা সেখানকার ‘ত্রাস’ টোটন বিশ্বাসের সঙ্গী ছিল। ভাগ্না খুনের
সঙ্গে লালবাবু হত্যার কোনও যোগ আছে কি না, চন্দননগর কমিশনারেট তা-ও দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy