বুধবার শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে ফের পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।
গেট খোলা পেলেই প্রতিবেশী নাসিম আলির ছাগল ঢুকে পড়ে। তার পর উঠোনে শুকোতে দেওয়া ধানগুলি খেয়ে নেয়। পর পর কয়েক দিন এমন হওয়ায় বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন পাণ্ডুয়ার শিখিরা চাঁপতা পঞ্চায়েতের হরিদাসপুর গ্রামের সরেন দম্পতি। ছাগলে এ ভাবে ধান খেয়ে যাচ্ছে অথচ কোনও হেলদোলই নেই মালিকের! বিষয়টি যে ঠিক হচ্ছে না সেটা নাসিমকে জানান বাপি সরেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।
নাসিমের কয়েকটি ছাগল বাপির বাড়িতে ঢুকে ধান খেয়ে নেয়। অভিযোগ, তখন সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন নাসিমের স্ত্রী মাফুজা খাতুন। বিষয়টি দেখেও তিনি ছাগলগুলিকে তাড়াননি। আর তাতেই বেজায় চটেন সরেন দম্পতি। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির পরিস্থিতি হাতাহাতিতে পৌঁছয়। মাফুজার হাতে ছাগল তাড়ানোর লাঠি ছিল সেই সময়। তা নিয়েই বাপির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। স্বামীকে বাঁচাতে তখন এগিয়ে আসেন বাপির স্ত্রী আরতি। তাঁর কোলে ছ’মাসের সন্তান ছিল। আরতি যখন বাপিকে বাঁচাতে যান, মাফুজা তাঁর উপরও হামলা চালান বলে অভিযোগ। তখন আরতির কোলে থাকা শিশুটির আঘাত লাগে।
অভিযোগ, যখন দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি চলছে, ঠিক তখনই মাফুজা আরতির কোল থেকে তাঁর বাচ্চাকে ছিনিয়ে নেন। তার পর তাকে সপাটে ছুড়ে ফেলে দেন রাস্তায়। শিশুটিকে আহত অবস্থায় প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে ফের পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা শিশুটিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়।
শিশুটির মা আরতির অভিযোগ, ছেলের মাথায় আঘাত লেগেছে। বমি করছে। যদিও সরেন দম্পতির অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছেন নাসিম। ঘটনা প্রসঙ্গে পাণ্ডুয়া থানা জানিয়েছে, এখনও লিখিত অভিযোগ পায়নি তারা। অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy