ভাঙচুর হওয়া দলীয় কার্যালয় দেখতে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক বিমান ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
পান্ডুয়ায় বিজেপি কার্যালয়ে হামলা এবং মারধরের ঘটনায় নয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, মূল অভিযুক্ত, তৃণমূলের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষকে পুলিশ ধরেনি। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার বেলা ২টো নাগাদ জিটি রোডের কালনা মোড় অবরোধ করে বিজেপি। পুলিশের হস্তক্ষেপে মিনিট পনেরো পরে অবরোধ ওঠে।
রাজ্য বিজেপি সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যে ভাবে আমাদের কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর করেছে, এর বিচার সাধারণ মানুষ করবেন। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে, আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব।’’
পক্ষান্তরে, সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘আমি বা আমার দলের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত নন। তবে, ঘটনা একটা ঘটেছে। পুলিশের উপরে আস্থা আছে।’’ তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি নিজেদের অন্তর্কলহের জেরে গোলমালের ঘটনা চাপা দিতে আমাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় জড়াচ্ছে।’’
শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ পান্ডুয়ার কামারপাড়ায় বিজেপির কার্যালয়ে বৈঠক চলছিল। সেই সময় হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাতে বিজেপির কয়েকজন কর্মী আহত হন। তাঁদের স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দু’জনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সঞ্জয়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে রাতেই বিজেপির তরফে পান্ডুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে রাতেই ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিন দুপুরে ওই কর্মীদের বাড়িতে যান বিমান। ভাঙচুর হওয়া কার্যালয়েও যান। স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিমানের সঙ্গে ছিলেন দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy