শুক্রবার হাওড়ার পিলখানায় শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদল। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গৃহশিক্ষকের শাস্তির আতঙ্ক এখনও চেপে বসে রয়েছে সাত বছরের শিশুটির মনে। হোমওয়ার্ক না করার শাস্তি হিসাবে তার হাতে, পায়ে ও পিঠে গরম মোম ঢেলে দিয়েছিলেন গৃহশিক্ষক। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তার বাবা-মা। যদিও তাঁদের দাবি, অভিযুক্তকে ধরতে সে ভাবে উদ্যোগী নয় পুলিশের। শুক্রবার শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদল। তবে পরিবারের দাবি, প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হলেও গৃহশিক্ষকের হাতে নির্মম শাস্তি পাওয়ার পরে এখনও সিঁটিয়ে রয়েছে শিশুটি।
হোমওয়ার্ক না করায় শাস্তি হিসাবে হাওড়ার পিলখানার ফকির বাগানের বাসিন্দা দ্বিতীয় শ্রেণির ওই শিশুটির গায়ে মোমবাতির গরম মোম ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার গৃহশিক্ষক দীপক প্রজাপতির বিরুদ্ধে। তাতে ওই শিশুটির হাতে, পায়ে ও পিঠে ফোস্কা পড়ে যায়। ১৪ অগস্টের ওই ঘটনার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও শিশুটি আতঙ্কে ভুগছে বলে দাবি পরিবারের।
শুক্রবার দুপুরে শিশুটির বাড়িতে পৌঁছন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। তার আগে গোলাবাড়ি থানায় যান তাঁরা। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে শিশুটির শারীরিক নিগ্রহ নিয়ে আলোচনা করেন ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। পরে আক্রান্ত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে যান। শিশুটির মা বলেন, “কমিশনের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের গ্রেফতারির আশ্বাসও দিয়েছেন। কমিশন সব সময় আমাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে।”
পরিবারের অভিযোগ শুনে কমিশন জানিয়েছে, পলাতক গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। কমিশনের সদস্য যশোবন্তী শ্রীমানী বলেন, “শিশুটির মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখেছে পুলিশ। পাশাপাশি ১৯ অগস্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তবে সে এখনও পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy