Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Tribeni

ডাকাত পালানোর আগেই এল পুলিশ! ত্রিবেণীতে ধৃত তিন

ফোন পেয়েই মগরা থানার পুলিশ হাজির হয়ে যায় প্রতাপের বাড়িতে। পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে যায় তিন জন।

ত্রিবেণীতে পুলিশের জালে দুষ্কৃতী।

ত্রিবেণীতে পুলিশের জালে দুষ্কৃতী। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ত্রিবেণী শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২১ ১০:৫৪
Share: Save:

পুলিশের সক্রিয়তায় ধরা পড়ল ডাকাতি করতে আসা তিন দুষ্কৃতী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার ত্রিবেণীতে।

ত্রিবেণীর পালপাড়ায় বাড়ি প্রতাপ সিংহের। তিনি বিএসএফ-এ কর্মরত। রাজস্থানে তাঁর পোস্টিং থাকলেও বর্তমানে ছুটিতে বাড়িতেই রয়েছেন। রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ-ছ’জনের একটি দুষ্কৃতী দল। প্রতাপ জানিয়েছেন, রান্নাঘরের জানলা ভেঙে ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। সে সময় দোতলার ঘরে ঘুমচ্ছিলেন প্রতাপের বাবা এবং ছেলে। তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর পাশাপাশি লোহার রড দিয়ে মারধর করেছে বলেও জানিয়েছেন প্রতাপ। চিৎকার শুনে এক তলায় শুয়ে থাকা বাড়ির লোকেরা ফোন করেন পুলিশে।

ফোন পেয়েই মগরা থানার পুলিশ হাজির হয়ে যায় প্রতাপের বাড়িতে। পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে যায় তিন জন। অভিযোগ, সময়ে পুলিশ আসা সত্ত্বেও লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতাপের বাবা হরিনাথ সিংহ বলেছেন, ‘‘আমি নাতিকে নিয়ে শুয়েছিলাম। ডাকাতরা বন্দুক দিয়ে ভয় দেখায়। নাতি বাধা দিলে ওকে মারতে থাকে। আমার মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে। ছোট মেয়ের বিয়ের গয়না ছিল। সব নিয়ে গিয়েছে।’’

মগরা থানার পুলিশ ধৃতদের জেরা করে তাদের বাকি সঙ্গীদের ব্যাপারে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধৃতেরা হলেন বিভাস শিকদার, আকাশ মণ্ডল, প্রসেন মণ্ডল এবং গৌতম রায়। এর মধ্যে প্রথম তিন জন কল্যাণীর বাসিন্দা। গৌতম বিশপাড়ার বাসিন্দা।সঠিক সময়ে পৌঁছে যাওয়ায় মগরা থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রতাপের পরিবার।

অন্য বিষয়গুলি:

Tribeni police Miscreants
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE