Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Jharkhand

ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ককে শর্তসাপেক্ষে নিজেদের রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি, তলবে ২৪ ঘণ্টায় হাজিরা

গত জুলাইয়ে হাওড়ায় পাঁচলায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নগদ-সহ গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক। গত ১৭ অগস্ট তাঁদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় হাই কোর্ট।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:১২
Share: Save:

গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধারের মামলায় জড়িত ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ককে নিজেদের রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালতের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগের নির্দেশে ওই তিন বিধায়ককে ঝাড়খণ্ডে না-ফেরার শর্তে জামিন দিয়েছিল আদালত। এ বার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার কাজ থাকলে তদন্তকারীদের জানিয়ে ওই রাজ্যে যেতে পারবেন তিন বিধায়ক।

গত জুলাইয়ে হাওড়ার পাঁচলায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নগদ-সহ গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক রাজেশ কাছাপ, নমন বিক্সাল কোঙারি এবং ইরফান আনসারি। গত ১৭ অগস্ট তাঁদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয় হাই কোর্ট। শর্ত ছিল, ঝা়ডখণ্ডে ফিরতে পারবেন না তাঁরা। তাঁদের কলকাতাতেই থাকতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি ওই তিন বিধায়ক আদালতে জানান, বিধানসভার বেশ কিছু কাজ রয়েছে তাঁদের। চিঠিও এসেছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা থেকে। আদালতে তাঁরা আবেদন জানান, ওই বকেয়া কাজ সেরে আসার অনুমতি দেওয়া হোক তাঁদের। এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সোমবার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বিধানসভার কাজে অংশ নিতে কলকাতা ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে যেতে পারবেন বিধায়কেরা। তবে পড়শি রাজ্যের বিধানসভা থেকে চিঠি এলে তবেই তাঁরা যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশিই, আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, বিধানসভার কাজের জন্য যে ক’দিন ঝাড়খণ্ডে থাকার দরকার, তাঁরা থাকতে পারবেন। কিন্তু কাজ মিটে গেলেই তাঁদের কলকাতায় ফিরে আসতে হবে। বিধানসভার কাজ ছাড়া তাঁরা অন্য কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ঝাড়খণ্ডে থাকাকালীন তদন্তের স্বার্থে রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ) পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)-এর আধিকারিকেরা যদি তাঁদের তলব করেন, তা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাজিরা দিতে হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Jharkhand MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE