Advertisement
১১ অক্টোবর ২০২৪
Junior Doctors’ Hunger Strike

অনিকেত সিসিইউয়ে, বাকি ৬ অনশনকারীরও স্বাস্থ্যের অবনতি! কার কী অবস্থা, দেখুন মেডিক্যাল রিপোর্ট

১০ দফা দাবিতে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছয় জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার অনশনে যোগ দেন অনিকেত মাহাতোও।

How are the junior doctors who continue their hunger strike in Dharmatala

অনশনমঞ্চে ছয় আন্দোলনকারীর শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫৬
Share: Save:

১৪০ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গিয়েছে। ধর্মতলার অনশনমঞ্চে এখনও অনড় ছয় আন্দোলনকারী। তবে ক্রমে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। মাথা ঘুরছে, রক্তের শর্করার মাত্রা কমছে, রক্তচাপ, পাল্‌‌স রেট ওঠানামা করছে। দেখা দিচ্ছে কিডনির সমস্যাও। কেমন আছেন আন্দোলনকারীরা, তা নিয়ে অনেকের মনেই উৎকণ্ঠা। অনশনমঞ্চে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁদের। সেই পরীক্ষার ফলাফল লেখা হচ্ছে অনশনমঞ্চে টাঙানো বোর্ডে। শুক্রবার সকালেও অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

১০ দফা দাবিতে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছয় জুনিয়র ডাক্তার। তাঁরা হলেন, তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। রবিবার অনশনে যোগ দেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোও। বৃহস্পতিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনশনরত অনিকেতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসা চলছে তাঁর। বৃহস্পতিবার রাতে তুলনায় শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও সঙ্কট কাটেনি অনিকেতের। বেশ কিছু স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে তাঁর।

শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চের তরফে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘এখন অনিকেতের অবস্থা স্থিতিশীল। রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। অনিকেত হাসপাতালে ভর্তি হতে নারাজ ছিল। কিন্তু আমরা ওকে বুঝিয়ে ভর্তি করাই। সরকার অমানবিক হতে পারে। তবে আমাদের সহকর্মীদের শারীরিক অবস্থার বিষয়টা দেখতে হবে।’’ অনিকেত ছাড়া বাকি ছয় অনশনকারী কেমন আছেন? দেবাশিসের কথায়, ‘‘সকলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। ইউরিনে কিটোন বডি পাওয়া গিয়েছে। তার মাত্রাও ক্রমশ বাড়ছে।’’

উল্লেখ্য, দিনে দু’বার অনশনকারীদের রক্তচাপ, নাড়ির গতি, ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ (সিবিজি) পরিমাপ করা হচ্ছে।

কে কেমন রয়েছেন?

অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পিডিটি প্রথম বর্ষ, এসএসকেএম

শুক্রবার সকালে অর্ণবের রক্তচাপ ছিল ১১২/৮৪, নাড়ির গতি ৮৮ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা (সিবিজি) ৭০।

অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পিডিটি প্রথম বর্ষ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

অনুষ্টুপের রক্তচাপ ছিল ১১০/৮৪, নাড়ির গতি ৯২ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা (সিবিজি) ৬৮।

সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, পিজিটি তৃতীয় বর্ষ, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ

সায়ন্তনীর রক্তচাপ ছিল ১০২/৭৬, নাড়ির গতি ৯৮ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা (সিবিজি) ৬৮।

স্নিগ্ধা হাজরা, সিনিয়র রেসিডেন্ট, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

স্নিগ্ধার রক্তচাপ ছিল ১০৮/৬৮, নাড়ির গতি ৮৮ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা (সিবিজি) ৬২।

তনয়া পাঁজা, ইএনটি সিনিয়র রেসিডেন্ট, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

তনয়ার রক্তচাপ ছিল ১২৪/৯০, নাড়ির গতি ৯৮ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা (সিবিজি) ৭৫।

পুলস্ত্য আচার্য, পিজিটি প্রথম বর্ষ, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ

পুলস্ত্যের রক্তচাপ ছিল ১১৬/৮০, নাড়ির গতি ৭৮ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা (সিবিজি) ৬৯।

অন্য বিষয়গুলি:

Hunger strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE