স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরে রাজ্যের গৃহশিক্ষকেরাও এ বার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হলেন।
বুধবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী গৃহশিক্ষকদের পাঁচ প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। ওই বৈঠকে গৃহশিক্ষকেরা দাবিদাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানান মন্ত্রীকে।
গৃহশিক্ষকদের অভিযোগ, কলকাতা গেজেট ২০১৮ অনুযায়ী সরকারি শিক্ষকেরা গৃহশিক্ষকতা করতে পারেন না। কিন্তু সেই নিয়ম বেশির ভাগ শিক্ষকই মানেন না। উল্টে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে না-পড়লে নম্বর দেওয়া হবে না বলে ভয়ের আবহ তৈরি করে পড়ুয়াদের উপরে মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। সেই সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের অভিযোগ, স্কুলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টের প্রশ্নের দায়িত্ব। টেস্টে ভাল নম্বর পাওয়া যাবে, এই প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলের অমেক শিক্ষক-শিক্ষিকা তাঁদের কাছে থেকে প্রাইভেট টিউশন নিতে বাধ্য করছেন ছাত্রছাত্রীদের।
গৃহশিক্ষকদের বক্তব্য, তাঁরা সমাজ গড়ার কারিগর। অথচ তাঁদের পেশার কোনও সামাজিক স্বীকৃতি নেই। সরকারের পক্ষে সব শিক্ষককে কাজ দেওয়া সম্ভব নয়।
গৃহশিক্ষকতার পেশাকে যদি সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তা হলে বেকারত্বের হার কমবে। গৃহশিক্ষকেরাও কিছু সরকারি সুয়োগ-সুবিধা পেতে পারেন।
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই সব বক্তব্য জানান ওয়েস্টবেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। সংগঠনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক সোহম ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সরকারি ও সরকার পোষিত শিক্ষকদের টিউশন বেআইনি। অথচ তাঁরা এই কাজ করে চলেছেন। এবং এই বেআইনি কাজের মধ্য দিয়ে ছোট ছোট পড়ুয়াদেরও বেআইনি কাজ করতে উৎসাহিত করছেন।’’ ওই সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গে কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত জানান, তাঁদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy